id
stringlengths 1
15
| text
stringlengths 1
126k
| __index_level_0__
int64 0
10k
⌀ |
---|---|---|
194eeabe88 | দাম্পত্য কলহ মেটাতে এসে শিকল দিয়ে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে পুলিশ নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বুলারআটি গ্রামে।নিহত ব্যক্তির নাম হায়াত আলী (৪০)। তিনি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের শাহাদাত সরদারের ছেলে। তাঁর ভাই জাকাত আলী ও বেল্লাল হোসেনের ভাষ্যমতে, হায়াত আলী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বুলারআটি গ্রামের অজিয়ার সরদারের মেয়ে রনজিনা খাতুনকে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। কয়েক দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ দেখা দেয়। রনজিনার ভাই শহিদুল ইসলাম গত রোববার রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হামিদকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ডাকেন। ইউপি সদস্য হায়াত আলীকে চেয়ারের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে তাঁর মৃত্যু হয়।সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় অজিয়ার সরদারের বাড়ি থেকে পায়ে শিকল বাঁধা, চেয়ারে বসা ও গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে। আলীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল হামিদ দাবি করেন, হায়াত আলীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। তাঁর ধারণা, হায়াত আত্মহত্যা করেছেন। নিহত ব্যক্তির বাবা আবদুল হামিদ, শহীদুল ইসলাম ও আবুল কাশেম নামের তিনজনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় হত্যার অভিযোগ দিয়েছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাজাহান খান জানান, সোমবার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হায়াতের বাবার দেওয়া অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে। | null |
36c9836574 | নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় আগুনের ঘটনায় মারা গেলেন ৫২ জন শ্রমিক। সাম্প্রতিক অগ্নিদুর্ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, দাহ্য পদার্থ ও রাসায়নিকের কারণে মৃত্যু বেশি হচ্ছে। আবার দুর্ঘটনার পর বেরিয়ে আসছে অবহেলা ও অনিয়মের চিত্র। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সক্ষমতা, বিস্ফোরক পরিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের দায়দায়িত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেনসাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম।
প্রথম আলো: নারায়ণগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় আগুন নেভাতে এত সময় কেন লাগল? কারখানার ভেতরের ব্যবস্থাপনা, নাকি ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতার ঘাটতি?
শাহিদউল্লাহ: ফায়ার সার্ভিস দ্রুততম সময়েই কাজ শুরু করেছিল। আগুন নেভানোর দুটো ধাপ—নিয়ন্ত্রণ ও নেভানো। নিয়ন্ত্রণ যত আগে করা যায়, প্রাণহানি তত কমানো সম্ভব। আগুন নেভাতে কত সময় লাগবে, তা অনেকটা নির্ভর করে ভেতরে কী পরিমাণ দাহ্য পদার্থ আছে, তার ওপর। যেমন পাটের গুদামে আগুন লাগলে তা কয়েক দিন ধরে জ্বলতে থাকে। আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে, ঘটনাস্থলে যদি দাহ্য পদার্থ বেশি থাকে, তাহলে বাইরের দিকে আগুন নিভে গেলেও ভেতরে-ভেতরে থেকে যায়। সেখান থেকে আবার আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাটের গুদামে আগুন লাগলে প্রয়োজনে পাশের ভবনের দেয়াল ভেঙে পাটগুলো সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে হয়। হাসেম ফুডসের ঘটনাতেও দেখুন, এক তলার গুদামে প্রচুর অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, কাগজ বা মোড়কজাতকরণের উপকরণ মজুত ছিল। এমন হতে পারে যে ফায়ার সার্ভিস মনে করেছে আগুন নিভে গেছে, আসলে ভেতরে-ভেতরে জ্বলছে। এমন কয়েকবার হতে পারে। সব মিলিয়ে পুরোপুরি নেভাতে সময় লেগেছে। তবে নিয়ন্ত্রণ কিন্তু আগেই হয়েছে।
আগুনের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কারখানা কর্তৃপক্ষের করণীয় কিছু আছে কি?
শাহিদউল্লাহ: রাজধানীর বাইরে আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অনেক সময় নির্ভর করে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের দূরত্বের ওপর। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। এ সময়ের মধ্যে কী হবে? এর উত্তর হলো, কারখানা কর্তৃপক্ষের নিজেদেরই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেটা শুধু মানবিক নয়, আইনি বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। আইনে বলা আছে, প্রাথমিকভাবে দক্ষতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কারখানায় থাকতে হবে। যখনই কোনো কারখানায় কর্মচারীর সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হবে, বাধ্যতামূলকভাবে তাদের সেফটি (নিরাপত্তা) কমিটি থাকতে হবে। শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমিটির আকার ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। এ বিষয়গুলো শ্রম আইনে খুব ভালোভাবে উল্লেখ করা আছে। সেফটি কমিটির সদস্যদের অর্ধেক হবেন কারখানা মালিকপক্ষের প্রতিনিধি, বাকি অর্ধেক শ্রমিকপক্ষে। কমিটির কাজ হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আগুন নেভানো ও উদ্ধারের জন্য কারখানার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৬ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আগুন নেভানোর কর্মী, ৬ জন উদ্ধারকর্মী এবং ৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দাতা হিসেবে তৈরি করতে হবে। প্রতিটি কারখানায় অগ্নি নির্বাপণকর্মীদের দায়িত্ব হলো প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করা। কারখানা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো কারখানার ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা তৈরি করা। ঝুঁকির ওপর নির্ভর করবে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তুতি কী হতে পারে।
হাসেম ফুডসের কারখানায় দাহ্য পদার্থ ছিল। সাম্প্রতিক বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দাহ্য ও অতিদাহ্য রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কি এসব রাসায়নিকের আগুন নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে?
শাহিদউল্লাহ: হাসেম ফুডস একটি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদনকারী কারখানা। এই কারখানায় প্রচুর দাহ্য তরল ছিল। ভোজ্যতেল ও ডালডা সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়েছে। এই আগুন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ধরনের ফোম প্রয়োজন, যা ফায়ার সার্ভিসের কাছে আছে। ২০১০ সালে নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের সময় তা ছিল না। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের এখন বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ যানও আছে। তবে সীমাবদ্ধতা হলো, এই যান সব জায়গায় পাঠানো সম্ভব হয় না। কারণ, রাস্তা সরু থাকে। আগুন লাগলে আগে দেখতে হয় সেখানে কোন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে, তা বুঝে ফায়ার সার্ভিসের নিকটবর্তী কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও অগ্নিনির্বাপণ যান পাঠানো হয়।
বেশির ভাগ শিল্পকারখানা ঢাকা মহানগরের বাইরে অবস্থিত। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং আধুনিক ও উন্নত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রগুলোর অধিকাংশ থাকে রাজধানীর মিরপুরে ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয়ে।
শাহিদউল্লাহ: কয়েক বছর আগে আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় আগুন লাগার পর ঢাকা থেকে সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগেছিল। তখন থেকেই ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হচ্ছিল। কথা হচ্ছে, আমরা রাজধানীকে বেশি সুরক্ষা দেব, না গাজীপুরের একটি কারখানাকে? দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তবে রাজধানী অগ্রাধিকার পাবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অগ্নিনির্বাপণ বিশেষ যান জেলা শহরগুলোর মধ্যে কোথাও কোথাও দেওয়া হচ্ছে। তবে সেটা নির্ভর করছে, সেখানে কতগুলো শিল্পকারখানা আছে, তার ওপর। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অগ্নিনির্বাপণের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা আছে। মানে হলো, পরিকল্পিত শিল্পায়নের ক্ষেত্রে আগুন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা গড়ে উঠলেই অব্যবস্থাপনার সুযোগ বেশি তৈরি হয়।
অপরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা গড়ে উঠলেই অব্যবস্থাপনার সুযোগ বেশি তৈরি হয়।
আইনে বলা আছে, প্রাথমিকভাবে দক্ষতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কারখানায় থাকতে হবে।
ফায়ার সার্ভিসের যে সক্ষমতা রয়েছে, তার চেয়ে প্রয়োজন অনেক বেশি।
অর্থ দিয়ে যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার না করা না যায়, তা তদারকির দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের।
ঢাকার বাইরে প্রচুর বড় শিল্পকারখানা তৈরি হচ্ছে। সেগুলোর ক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা কী?
শাহিদউল্লাহ: যত্রতত্র শিল্পকারখানা যাতে গড়ে না ওঠে, সে জন্য সরকার চেষ্টা করে। কিন্তু বাস্তবে আসলে সবকিছু করা সম্ভব হয় না। এ নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটে, প্রাণহানির ঘটনা বাড়ে। দেখতে হবে, কারখানা ও ভবনের অনুমতি কারা দিচ্ছে। স্বীকার করতে হবে, ফায়ার সার্ভিসের যে সক্ষমতা রয়েছে, তার চেয়ে প্রয়োজন অনেক বেশি। সম্পদের অপ্রতুলতাও একটা বাধা।
দাহ্য রাসায়নিক আমদানির ক্ষেত্রে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেখা গেছে, অবৈধভাবে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। পরিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে কী বলবেন?
শাহিদউল্লাহ: যখন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, তখন তাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। কোথায় কতটা মজুত আছে, সেটা তদারকি করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের আগুনের ঘটনায় তো স্পষ্ট যে দাহ্য পদার্থ মজুতের ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা ছিল। এই পরিদপ্তর কোনোভাবেই তাদের দায় এড়াতে পারে না।
হাসেম ফুডসের কারখানায় আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের আধুনিক সরঞ্জাম ও উপকরণ ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে, নাকি শুধু পানি দিয়েই নেভানোর চেষ্টা হয়েছে?
শাহিদউল্লাহ: নারায়ণগঞ্জে বিশেষ ধরনের ফোম ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, ঠিক বলতে পারব না। তবে পানির অভাব হয়নি। এটার কৃতিত্ব অবশ্য ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির নয়। পাশেই একটা জলাধার ছিল। সেখানে সাতটি পাম্প ব্যবহার করে পানি সংগ্রহ করা হয়েছিল।
এখন বেশির ভাগ কারখানা হচ্ছে গ্রাম এলাকায়। সেখানে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়। এতে কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে?
শাহিদউল্লাহ: রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর তাদের ভবন নির্মাণের অনুমতির বিষয়টি যাচাই করতে গিয়ে আমরা হতবাক হয়েছিলাম। তারা অনুমোদন নিয়েছিল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। ফলে দেখা যাচ্ছে, এখন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভবনের পরিকল্পনা অনুমোদন করিয়ে সেখানে শিল্পকারখানা বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। এটা যে কত বড় হঠকারিতা, তা বলে বোঝানো যাবে না। ইউনিয়ন পরিষদে কোনো স্থপতি বা প্রকৌশলী আছেন? তাহলে কিসের ভিত্তিতে পরিকল্পনা অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে? তাদের কি অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা আছে? এখানে স্থানীয় সরকার ও পূর্ত মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আরেক দ্বন্দ্ব রয়েছে। রাজউক ও সিটি করপোরেশন—দুটি সংস্থারই পরিকল্পনা পাস করানোর ক্ষমতা আছে। বিষয়টি বহুবার আলোচনায় এলেও সমাধান হয়নি।
শ্রমিকের পেশাগত ঝুঁকির বিষয়টি দেখার দায়িত্ব কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের। তারা কি কোনো ভূমিকা রাখছে?
শাহিদউল্লাহ: শুধু দায়িত্বই নয়, এই অধিদপ্তর ফায়ার সার্ভিসকেও নির্দেশনা দিতে পারে। ২০১৫ সালের শ্রম বিধিমালায় কী কী বিষয় দেখতে হবে তার ‘চেক লিস্ট’ দেওয়া আছে। তারা কেমন দায়িত্ব পালন করছে, সেটা তো একের পর এক দুর্ঘটনার ধরনগুলো থেকেই বোঝা যাচ্ছে।
আগুনের ঘটনায় মৃত্যুর পর দেখা যায়, শ্রমিকেরা বের হতে না পারায় মৃত্যু বেশি হয়। অনেক সময় অভিযোগ ওঠে গেট বন্ধ থাকার। এ বিষয়ে কী বলবেন?
শাহিদউল্লাহ: তাজরীন গার্মেন্টসে আগুনের ঘটনার পর জানা গিয়েছিল যে কলাপসিবল গেটে তালা ছিল। এটা অপরাধ। এখনো যদি কারখানার গেটে তালা মেরে রাখা হয়, তার দায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কোনোভাবে এড়াতে পারে না। এটা দেখার দায়িত্ব এই অধিদপ্তরের। তাজরীনের ঘটনার পর বিষয়টি নিশ্চিত করতে কর্মসূচি চালানো হয়েছে। তদন্তে যদি প্রমাণ হয় হাসেম ফুডসের গেটও তালাবদ্ধ ছিল, তার দায় মালিকপক্ষকে নিতে হবে। এমনকি যদি সেফটি কমিটি না থেকে থাকে, তাহলেও জবাব দিতে হবে। আমাদের আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ নেই।
ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেলথ অ্যান্ড সেফটি কাউন্সিল তাদের ভূমিকা কতটা পালন করেছে?
শাহিদউল্লাহ: সরকার, মালিক সমিতি আর শ্রমিক—এই তিন পক্ষের সমন্বয়ে এই কাউন্সিল গঠিত। গত এক বছর এই কাউন্সিলের কোনো বৈঠক হয়নি। তবে প্রতি তিন মাস পরপর বৈঠক হওয়ার কথা। এক বছর আগেও নিয়মিত বৈঠক হতো। তবে এর মধ্যে একটা কাজ হয়েছে, শিল্প কারখানার জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি-২০১৩ তৈরি করেছে এই কাউন্সিল। তবে এ নিয়ে কোনো কর্মপরিকল্পনা হয়নি। এটাই বড় দুর্বলতা।
এখানে শ্রমিকদের ভূমিকা কতখানি?
শাহিদউল্লাহ: কাউন্সিলের সদস্যদের তিন ভাগের এক ভাগই শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। তাঁরা বিভিন্ন কারণে আন্দোলন করেন। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য কখনো তাঁদের দাবি দেখিনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কলাপসিবল গেটে তালা লাগানোর বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন করতে দেখিনি।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কারখানার মালিকপক্ষ প্রভাবশালী। সে ক্ষেত্রে প্রভাবমুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে তদন্ত করা ও প্রতিবেদন প্রকাশের উপায় কী?
শাহিদউল্লাহ: ক্ষমতাবান হতে পারেন আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে। তাঁরা অর্থ দিয়ে যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে পারেন, সেটা তদারকির দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের। প্রশাসন পুরো ব্যাপারটি নজরে রাখবে। স্বরাষ্ট্র ও শ্রম মন্ত্রণালয় কিন্তু এসব ক্ষেত্রে সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত। তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে কোনোভাবেই প্রভাব খাটানো সম্ভব হবে না। দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটির দেওয়া সুপারিশগুলো স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে হবে। এটা অপ্রকাশিত থাকে বলে অনেক কিছুই আর সামনে আসে না।
প্রথম আলো: হতাহত শ্রমিকেরা ক্ষতিপূরণ ঠিকভাবে পান না। এ দায় কে নেবে?
শাহিদউল্লাহ:ক্ষতিপূরণের তালিকা করে তিন পক্ষ মিলে—সরকার, মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠন। কোনো বিচ্যুতি হলে সেটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও জানতে চাইতে পারে। তাদের এ দায়িত্ব রয়েছে। এখানে গণমাধ্যমেরও বড় ভূমিকা আছে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে শুরু করে সবকিছুই যদি তারা পর্যবেক্ষণে রাখে এবং প্রকাশ করে, তাহলে সংস্থা ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা জবাবদিহির মধ্যে থাকবেন। | 2,509 |
6feaf6726d | মাতামুহুরি নদীর চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে মসজিদ, মন্দির, বিদ্যুতের খুঁটিসহ বহু স্থাপনা। আতঙ্কে দিন কাটছে দুই তীরে বসবাসকারী মানুষের।জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের সুরাজপুর, কাকারার প্রপার কাকারা, লোটনী ও মাঝেরফাঁড়ি; ফাঁসিয়াখালীর হাজিয়ান, ঘুনিয়া ও দিগর পানখালী; লক্ষ্যারচরের মণ্ডলপাড়া, জালিয়াপাড়া ও শিকলঘাট; কৈয়ারবিলের দিককুল ও খোঁজাখালী; সাহারবিলের বাটাখালী, বিএমচরের বেতুয়া বাজার, পূর্ব বড় ভেওলার আনিসপাড়া, কোনাখালীর মরংঘোনা, পুরইত্যাখালী ও কইন্যারকুম; চিরিঙ্গার সওদাগর ঘোনা ও মাছঘাট এবং চকরিয়া পৌরসভার কাজিরপাড়া, আমানপাড়া, আবদুল বারীপাড়া, চরপাড়া, নামার চিরিঙ্গা ও কোচপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের দিন কাটছে আতঙ্কে।সরেজমিনে দেখা যায়, ফাঁসিয়াখালীর দিগর পানখালী এলাকায় মাতামুহুরি ভাঙন বেশি। চলতি বর্ষায় এখানকার তিনটি বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পাশের ক্ষেত্রপাল মন্দিরের গোড়ার মাটি সরে যাওয়ায় মন্দিরটিও ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা চঞ্চলা বালা (৫২) বলেন, ‘নদীর কূল ঘেঁষে ৩০ শতক ফসলি জমি ছিল। মাতামুহুরি ওই জমি গিলে খেয়েছে। এখন বন্যায় বসতভিটার অর্ধেক নদীতে তলিয়ে গেছে। অবশিষ্ট অংশ রক্ষা করা যাবে কি না, সৃষ্টিকর্তাই জানেন।’দিগর পানখালী ক্ষেত্রপাল মন্দিরের কর্মকর্তা শিবু ধর বলেন, ‘মন্দিরটি শত বছরের পুরোনো। ভাঙতে ভাঙতে মাতামুহুরি নদী এখন মন্দিরের পাশেই চলে এসেছে। চলতি বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের ধাক্কায় মন্দিরের গোড়া থেকে মাটি সেও গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মন্দিরটি বিলীন হয়ে যাবে।’মাতামুহুরি নদীর ভাঙনে কৈয়ারবিলের দিককুল গ্রাম থেকে উচ্ছেদ হয়ে ইসলামনগরের পাহাড়ে বসবাস করছেন জাহান আলী (৩৬)। তিনি বলেন, ‘২০১২ সালের বন্যায় বসতঘর বিলীন হয়েছে নদীতে। পরে পরিবার পরিজন নিয়ে টং তৈরি করে পাহাড়ে বসবাস করছি।’ তাঁর মতো অনেকে বসতঘর হারিয়ে বেড়িবাঁধের ওপর ও পাহাড়ি এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছে।সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিমুল হক বলেন, ‘লামা ও আলীকদমের পাহাড়ে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন ও অপরিকল্পিতভাবে বারুদের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাথর আহরণের কারণে উজান থেকে প্রতি বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামে। এ ঢলের সঙ্গে নেমে আসা পলি জমে নদীর একাধিক পয়েন্টে সৃষ্টি হয়েছে অনেক ডুবোচর। নদীর নাব্যতা হারিয়ে ফেলার কারণে শুরু হয় নদী ভাঙন।’লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার বলেন, ‘মাতামুহুরির ভাঙনে বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৩ হাজার ভোল্টের একটি খুঁটি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। বিদ্যুতের এই খুঁটিটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে পড়লে উপজেলায় বিদ্যুতের সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হবে।’বিএমচর ইউপির চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিএমচরের বেতুয়া বাজার এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে। বাজারের মসজিদটি যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যাবে।কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক জানান, মরংঘোনা এলাকার ৩০০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। দুই বর্ষায় অন্তত ২০ বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ প্লাবিত হচ্ছে।এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলম বলেন, ‘মাতামুহুরি নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে প্রতি বর্ষায় মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে। গত ১০ বছরে অন্তত ২০ হাজার মানুষ নদীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি পানিসম্পদ মন্ত্রীকে মাতামুহুরি নদীর ভাঙন এলাকা ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। তিনি দ্রুত কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় তীর সংরক্ষণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’জানতে চাইলে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, ‘কোনাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনার ৩০০ মিটার ওই বেড়িবাঁধসহ কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন ফোল্ডারের অধীন ৩৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।’ | null |
1906a75d52 | গেমসের অষ্টম দিনে বাংলাদেশকে শ্যুটিংই যা সাফল্য দিয়েছে। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল থেকে দুটি পদক জিতেছে বাংলাদেশ। শোভন চৌধুরী ব্যক্তিগত রুপা জয়ের পাশাপাশি আবদুল্লাহ হেল বাকি ও অঞ্জন সিংহকে নিয়ে জিতিয়েছেন দলগত রুপাও। ছেলেদের ২৫ মিটার স্ট্যান্ডার্ড পিস্তলে শেখ শাহাদাত আহমেদ নবম হয়ে বাছাইয়ে বাদ পড়েন। এই ইভেন্টে ১১তম ও ১২তম হয়েছেন মোকসেদুর রহমান ও মহেন্দ্র কুমার সিংহ।দিনের শেষ ভাগে এসে ব্রোঞ্জ জিতেছে হকি দল। কাল ভেতাপুরার মওলানা তায়েবুল্লাহ স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। গোল করেছেন আশরাফুল, মিমো, কৃষ্ণ ও খোরশেদ। হ্যান্ডবল পুরুষ দল ১৭-৪০ গোলে হেরে গেছে ভারতের কাছে। কাবাডিতে ব্যর্থতা পিছু ছাড়ছে না। পুরুষ দল কাল পাকিস্তানের কাছে হেরে গেছে ২৩-১৬ পয়েন্টে। | null |
534b47675a | গোলাম মুরশিদ, লেখক, অধ্যাপক, গবেষক। অধ্যাপনা করেছেন কৃষি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেছেন। বিবিসির সঙ্গে ছিলেন ১৯ বছর। বর্তমানে বাংলা একাডেমীতে যৌথভাবে করছেন বাংলা বিবর্তনমূলক অভিধান -এর কাজ। বাংলা একাডেমী পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা বই সহ পেয়েছেন নানা পুরস্কার।ইতিহাসের বইয়ে বেশি আগ্রহবর্তমানে পড়ছি ডা. নুরুন নবীর লেখা বুলেটস অব ৭১ বইটি। প্রচলিত ইতিহাসের বইগুলো থেকে এ বইটির পার্থক্য হচ্ছে, লেখক এখানে শুনে কোনো গল্প লেখেননি। তিনি নিজে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর নিজের ঘটনা আর অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন এবং দ্বিতীয়ত বইটি পণ্ডিতি ইংরেজিতে লেখা নয়। এ ছাড়া পড়েছি সুধীর চক্রবর্তীর সম্পাদনা করা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখা একটি বই, যার রিভিউ বের হয়েছে দেশ পত্রিকায়।বিভিন্ন বিষয়ে লিখতে আগ্রহী আমার বিষয় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে আশার ছলনে ভুলি, হাজার বছরের বাঙালী সংস্কৃতি, বাংলা গদ্য নিয়ে লেখা দুটি বইকালান্তরে বাংলা গদ্য ও আঠারো শতকের গদ্য। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখেছি মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর, যখন পলাতক, স্বাধীনতাসংগ্রামের সাংস্কৃতিক পটভূমি। আমি বিচিত্র বিষয়ে লিখতে আগ্রহী।নারীবাদ নিয়ে লিখেছি। প্রথম সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্ইটির নাম রিলাকটেন্ট ডেবিউট্যান্ট। এখানে আমি দেখিয়েছি নারীরা কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া রাসসুন্দরী থেকে রোকেয়া, নারী প্রগতির একশ বছর, নারী ধর্ম ইত্যাদি। এগুলো লিখতে গিয়ে গবেষণা করতে হয়েছে, মেয়েদের সম্পর্কে বই পড়তে হয়েছে। কারণ, একটা জিনিস লিখতে গেলে তার প্রস্তুতিতে অনেক কিছু পড়তে হয়।গান মনের ব্যাপার প্রধানত রবীন্দ্রসংগীত শুনি। কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র, দেবব্রত বিশ্বাস, হেমন্ত থেকে শুরু করে শুনতে ভালো লাগে আধুনিক শিল্পী, যাঁদের গানের মধ্যে নতুনত্ব আছে। এ ছাড়া পল্লিগীতি, বাউল, কীর্তন, ভাওয়াইয়া গান শুনি। বিবিসির জন্য নজরুলের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একটা অনুষ্ঠান করেছিলাম। তখন আড়াই শ ঘণ্টা নজরুলগীতি শুনেছি। সেই যে তখন থেকে নজরুলের গানের প্রতি ভালো লাগাটা, তা এখনো রয়ে গেছে।গানসম্পর্কিত ব্ই ভালো লাগে। বাংলা গান নিয়ে লিখেছি অনেক। গান নিয়ে পড়াশোনা করি।সত্যজিৎ বড় মাপের শিল্পী তারেক মাসুদের মাটির ময়নার পর শেষ দেখেছি হুমায়ূন আহমেদের চন্দ্রকথা। খুব পছন্দ করি সত্যজিৎ রায়ের ছবি। তিনি যখন নষ্টনীড় তৈরি করেছেন, তখন সিনেমাটা আর নষ্টনীড় রাখেননি, পরিণত করেছেন চারুলতাতে। এ ছাড়া অপর্ণা সেনের মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার এবং মীরা নায়ারের মুনসুন ওয়েডিং দেখে ভালো লেগেছে।সাক্ষাৎকার গ্রহণ: রুহিনা ফেরদৌস | null |
2ee58eafa0 | প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা: বিশেষ প্রস্তুতি-৩৩বই বহির্ভূত প্যাসেজ অংশ-২
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ ইংরেজি বিষয় থেকে পাঠ্যবই বহির্ভূত প্যাসেজ ও প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো।1. Choose the right answer (Competency based).d. When did Tanin go to the zoo?i. on holiday ii. during summeriii. during winter iv. during autumne. What made them scared?i. some animals ii. camels iii. snakes iv. crocodilesf. Tanin’s uncle forbade them to go near the tigers. Because they are —(i) calm (ii) nocturnal (iii) ferocious (iv) sickg. Where was the ape?(i) in a house (ii) in a cave (iii) in a forest (iv) in a zooh. Where were the birds?(i) in the cage (ii) in the jungle (iii) in the tree (iv) in the foresti. What is the plural form of deer?(i) deers (ii) deer (iii) deerses (iv) dersesj. What is the past form of ‘give’?(i) gave (ii) given (iii) geve (iv) gives
Answer to the question no-1:(a) - (iii) school boy (b) - (iii) in a zoo(c) - (i) big (d) - (i) on holiday(e) - (i) some animals (f) - (iii) ferocious(g) - (iv) in a zoo (h) - (i) in the cage(i) - (ii) deer (j) - (i) gave2. Fill in the blanks with the words from the list below. There are more words.looked—letter—later—mongoose—noise—about—round—mole—mule—well—Mirpur—went(a) Mr. Masud took Tanin as — as some of his friends to the zoo.(b) The Royal Bengal Tiger — at them.(c) Tanin asked — the animal as he was unsure about it.(d) They went — the zoo for a long time.(e) Birds were making a lot of —.(f) Tanin’s uncle took him and his friends to the — Zoo.(g) The name of the animal started with the — ‘M’.(h) He knows that a — lives underground.(i) ‘That’s a —, said his uncle.(j) They — round the zoo for a long time.
Answer to the question no-2:(a) well, (b) looked, (c) about, (d) round, (e) noise,(f) Mirpur, (g) letter, (h) mole, (i) mongoose, (j) went3. Answer the questions.(a) Why did Tanin’s uncle tell them not to go near the cages?(b) What was the ape doing?(c) Who were making a lot of noise in the zoo?(d) Why were they become tired?(e) What was the Royal Bengal Tiger doing in the cage?(f) When did Tanin’s school have a holiday?(g) Which animal did they see after the Royal Bengal Tiger?
Answer to the question no-3:(a) He told them not to go near the cages as some animals might hurt them.(b) It was jumping from bar to bar in the cage.(c) The birds were making a lot of noise.(d) They became tired as they went round the zoo for a long time.(e) It was walking.(f) As it was winter, Tanin’s school had a holiday.(g) After the Royal Bengal Tiger they saw an ape.
শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা | null |
49a3de9263 | ‘বাংলাদেশে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যার ইতিহাস জানার পর দেশটির মানুষদের প্রতি আমার সহানুভূতি অনেকগুণ বেড়ে গেছে। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে নিদারুণ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে তাঁদের যেতে হয়েছে, সে জন্য অবশ্যই দেশটি শান্তি, ঐক্য ও উন্নতির দাবিদার।’ সম্প্রতি এভাবেই বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের নাতনি অভিনেত্রী রাইমা সেন।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ ছবির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঙালি বংশোদ্ভূত বলিউডের অভিনেত্রী রাইমা সেন।ছবিতে তিনি একজন সাংবাদিকের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্রটির নাম ফিদা। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্দো-এশিয়ান নিউজ।১৯৭১ সালে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের যেতে হয়েছিল ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ ছবিতে সেই চিত্র তুলে ধরেছেন নির্মাতা মৃত্যুঞ্জয় দেবব্রত।
এ ছবিতে যুদ্ধের ভয়াবহতার শিকার এক নারীর চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে রাইমা বলেন, ‘ওই সময়ে বাংলাদেশের মানুষদের যে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল, তার একটি চিত্র আমরা তুলে ধরতে চেয়েছি এই ছবিতে। এখন পর্যন্ত বড় পর্দায় অনেক ধরনের চরিত্রেই আমি অভিনয় করেছি। কিন্তু ফিদা চরিত্রটি সেগুলো থেকে একেবারেই আলাদা। চরিত্রটির মধ্য দিয়ে নারীশক্তিকে খুব ভালোভাবে তুলে ধরার সুযোগ আমি পেয়েছি। নিঃসন্দেহে আমার অভিনীত সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র এটি।’রাইমা আরও বলেন, ‘একজন পেশাদার অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার ব্যক্তিগত জীবনে হয়তো চরিত্রটি খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। কিন্তু ছবির শুটিংয়ের সময় বাংলাদেশের মানুষের প্রতি অদ্ভুত এক ধরনের মমতা অনুভব করেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ছবিটি দেখার পর দর্শকদের মধ্যেও একই ধরনের অনুভূতির জন্ম হবে।’ফিদা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিচালক মৃত্যুঞ্জয় অনেক সাহায্য করেছেন বলেও জানিয়েছেন রাইমা। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘মৃত্যুঞ্জয় স্বপ্নচারী একজন মানুষ। ছবি নির্মাণের জন্য নির্মাতার এ গুণটি থাকা খুব জরুরি। ছবিতে অভিনয়ের আগে প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীকে নিজ নিজ চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করেছেন মৃত্যুঞ্জয়। ছবিতে গণহত্যার চিত্র তুলে ধরার জন্য তিনি বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো গবেষণা চালিয়েছিলেন। তিনি খুব ভালোভাবে আমাদের চরিত্র বুঝিয়ে দেওয়ায় চরিত্রকে বাস্তবসম্মতভাবে ফুটিয়ে তুলতে আমাদের মোটেও বেগ পেতে হয়নি। আমি কেবল পরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় করেছি।’
বৈচিত্র্যময় নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের আকাঙ্ক্ষার কথা জানাতে গিয়ে রাইমা বলেন, ‘সব রকম ছবিতেই আমি অভিনয় করতে চাই। এমনকি পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক ঘরানার ছবিতে ‘‘গ্ল্যামার গার্ল’’রূপে আবির্ভূত হতেও আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি চাই, ভক্তরা আমাকে বৈচিত্র্যময় নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখুক। ভিন্নধর্মী নানা চরিত্রে অভিনয় করে তাঁদের প্রশংসা কুড়াতে চাই আমি। আমার মতে, একজন অভিনয়শিল্পীর অভিনয়ের ক্ষেত্রে গিরগিটির মতো রং পাল্টানোর ক্ষমতা থাকা উচিত।’এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ ছবিতেই পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে আদর্শ ভারতীয় নারী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী মুনমুন সেনের মেয়ে রাইমা সেন। তবে ব্যক্তিগত জীবনে সংক্ষিপ্ত কালো রঙের পোশাক পরতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বলে জানিয়েছেন রাইমা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে ধরনের পোশাক পরে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, তেমন পোশাকই পরার চেষ্টা করি আমি। পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবারই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। আমারও আছে। সংক্ষিপ্ত কালো রঙের পোশাক পরতেই আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি।’বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত হয়েছে বলিউডের ছবি ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’। শুরুতে এর নাম ‘দ্য বাস্টার্ড চাইল্ড’ রাখা হলেও সেন্সর জটিলতার কারণে পরে নাম পাল্টে ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ রাখেন নির্মাতা মৃত্যুঞ্জয়। ১৯৭১ সালে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানে ভয়াবহ গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এ ছাড়া যুদ্ধ চলাকালে বহু নারী ধর্ষণের শিকার হন, যাঁরা অসংখ্য যুদ্ধ-শিশুর জন্ম দেন। ছবিতে এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইমা সেন, তিলোত্তমা সোম, পবন মালহোত্রা, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, ভিক্টর ব্যানার্জি, প্রয়াত ফারুখ শেখ প্রমুখ।‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ ছবি সম্পর্কে মৃত্যুঞ্জয়ের ভাষ্য, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যা নিয়ে প্রচুর ছবি নির্মিত হয়েছে হলিউডে। কিন্তু বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খুব একটা আলোচনা হয়নি। ১৯৭১ সালে গণহত্যার পাশাপাশি ধর্ষণ ও ধর্মকে যে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল, তা-ই আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমার ছবিতে। আমার শৈশব কেটেছে বাংলাদেশে। এ ছবি বাংলাদেশের জন্য আমার পক্ষ থেকে একটা ছোট্ট উপহার।’১৯৯৯ সালে বলিউডের ‘গডমাদার’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে রাইমার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন হিন্দি চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শাবানা আজমি। পরবর্তী সময়ে হিন্দি, তেলেগু, মালয়লাম এবং বাংলা ভাষায় নির্মিত বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে বিভিন্ন মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী রাইমা। সামনে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর অভিনীত বাংলা ছবি ‘কলকাতা কলিং’। ছবিটিতে রাইমা ছাড়াও অভিনয় করেছেন তাঁর ছোট বোন বলিউডের অভিনেত্রী রিয়া সেন এবং মা মুনমুন সেন। | null |
ID_3086 | রোনালদো
রোনালদো (; জন্ম: ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬) ব্রাজিলের ফুটবল তারকা। তিনি একজন খ্যাতিমান স্ট্রাইকার। তার পুরো নাম - "রোনাল্দো লুইস নাজারিও ডি লিমা"। সচরাচর তিনি রোনাল্দো নামে পরিচিত। ব্রাজিলীয় ফুটবলার হিসেবে করিন্থিয়াসের পক্ষ হয়ে ২০১১ সালে খেলে অবসর গ্রহণ করেন। ‘’৯০-এর দশক থেকে শুরু করে ২০০০-এর দশকের প্রথমার্ধে বিশ্বের অন্যতম দক্ষ গোলদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তিনি মাত্র ২১ বৎসর বয়সে ১৯৯৭ সালে ইউরোপিয়ান ফুটবলার হিসেবে ফিফা বালোঁ দ’অর এবং ২৬ বৎসর বয়সে ২০০২ সালে পুণরায় এই খেতাব অর্জন করেন। উপরন্তু, তিনি দু’জন ব্যক্তির মধ্যে একজন হিসেবে ফিফা’র বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে তিনবার মনোনিত হন (অন্যজন হলেন ফরাসী ফুটবলার জিনেদিন জিদান)। ২০০৭ সালে রোনাল্দো ফরাসী ফুটবলে সর্বকালের সেরা একাদশের একজন হিসেবে স্থান পান এবং পেলে’র উত্তরসূরী হিসেবে ফিফা’র ১০০জন সেরা খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে মনোনিত হন। ২০১০ সালে তিনি গোল.কম-এর অনলাইন ভোটের ৪৩.৬৩% ভোট পেয়ে ’প্লেয়ার অব দ্য ডিকেড’সহ সেন্টার ফরোয়ার্ডের ‘টিম অব দ্য ডিকেড’ সম্মাননা পান। ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০১০ তারিখে রোনাল্ডো ঘোষণা করেন যে দু’বছর চু্ক্তির বর্ধিতাংশ হিসেবে করিন্থিয়াসের খেলোয়াড় হিসেবে ২০১১ মৌসুমে ফুটবল জগৎ থেকে অবসর নিবেন। তিনি বিশ্বব্যাপী ফুটবল বোদ্ধা ও সমর্থকদের কাছে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে চিহ্নিত।
রোনাল্ডো ব্রাজিলের পক্ষে ৯৭টি আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে ৬২টি গোল করেন। তিনি ১৯৯৪ ও ২০০২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলে রোনাল্ডো ১৫তম গোল করে জার্মানীর গার্ড মুলারের ১৪ গোলের রেকর্ড ভঙ্গ করে বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।
ক্লাব পর্যায়ে.
১৯৯৩: ক্রুজিরো.
১৯৯৩ সালে রোনাল্দো ক্রুজিরো দলে যোগদান করে ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়েন ও দলটিকে সফলতম দলের পর্যায়ে নিয়ে যান। কোপা ডো ব্রাজিল চ্যাম্পিয়নশীপে ১৪ খেলায় ১২ গোল করে ১মবারের মতো দলটিকে শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠিত করান। স্মরণযোগ্য যে, শৈশবে তার প্রিয় দল হিসেবে ফ্লেমিঙ্গোতে যেতে চাইলে ব্রাজিলীয় বিশ্বকাপের অন্যতম প্রতিভা জারজিনহো রোনাল্দো’র প্রতিভা দেখে বিস্মিত হন এবং ক্রোজিরোতে চলে যেতে সাহায্য করেন।
১৯৯৪-১৯৯৬: পিএসভি আইণ্ডহোভেন.
১৭ বছরে বয়সী রোনাল্ডোকে ’৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে একটি খেলায়ও অংশ নিতে হয়নি। এর পর রোনাল্ডো পিএসভি আইণ্ডহোভেনে যোগদান করেন। ব্রাজিলীয় তারকা ফুটবলার রোমারিও’র পরামর্শে ইউরোপের ক্যারিয়ার গড়তেই মূলতঃ তিনি পিএসভি-তে যোগ দেন। ১৯৮৮-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত রোমারিও দলটিতে স্ট্রাইকার হিসেবে ছিলেন। রোনাল্দো ১ম মৌসুমে হল্যান্ডে লীগ পর্যায়ে ৩০ গোল করেন। ২য় মৌসুমে হাঁটুর আঘাতে জর্জরিত হলে বেশীরভাগ সময়ই দলের বাইরে ছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিটি খেলাতেই গড়ে একটির মতো গোল করেন অর্থাত ১৩ খেলায় ১২ বার বিপক্ষের গোলপোস্টে বল ঢোকান। পিএসভি’তে থাকাকালীন ১৯৯৫ সালে এরিডিভাইস সর্বোচ্চ গোলদাতা হন এবং ১৯৯৬ সালে দলকে ডাচ কাপ জেতান।
১৯৯৬-১৯৯৭: বার্সিলোনা.
পিএসভি’তে থাকাকালীন অবস্থায় ইন্টার মিলান এবং বার্সিলোনা দলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। ততকালীন রেকর্ড হিসেবে ১৭ মিলিয়ন ডলারের ট্রান্সফার ফি প্রদান করে বার্সিলোনা‘র দলভূক্ত হন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে সকল স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রোনাল্দো ৪৯ খেলায় ৪৭ গোল করে সকলকে বিস্মিত করেন এবং বার্সা-কে ইউইএফএ কাপ উইনার কাপ, কোপা ডেল রে এবং সুপারকোপা ডি ইস্পানা জয়ে বিরাট ভূমিকা রাখেন; বিশেষ করে ইউইএফএ কাপ উইনার কাপের ফাইনালে তুরুপের গোল করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৭ সালে ৩৭ খেলায় ৩৪ গোল করে লা লিগা’য় সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।
২০০৮-০৯ মৌসুম পর্যন্ত লা লিগা’য় রোনাল্দোর ৩০ গোল অক্ষুণ্ন ছিল। সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে রোনাল্দো ফিফা কর্তৃক বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান। এছাড়াও তিনি ব্যলুন ডি’অরের রানার-আপ হন।
১৯৯৭-২০০২: ইন্টার মিলান.
বার্সায় থাকাকালীন পুণরায় রোনাল্দো’র চুক্তিনামা নিয়ে সমস্যা হয়। রোনাল্দো অসন্তুষ্ট চিত্তে মৌসুমটি শেষ করেন এবং পরবর্তী বছরের জন্য ইন্টার মিলান কর্তৃপক্ষ ততকালীন বিশ্বরেকর্ডীয় ১৯ মিলিয়ন পাউণ্ডের বিনিময়ে কিনে নেয়। রোনাল্দো পুণরায় সর্বোতভাবে ক্লাবটিকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং এ সময়ে ইউইএফএ কাপের ফাইনালে ৩য় গোলটি করে বিজয়ী হতে সাহায্য করেন।
রোনাল্দো প্রতশ মৌসুমে ইতালীয় স্টাইলে খেলতে থাকেন এবং লীগের গোলদাতাদের মধ্যে ২য় হন। তিনি পুর্ণাঙ্গ ফরোয়ার্ড হিসেবে উন্নতির চেষ্টা চালান। তিনি প্রথম পছন্দ হিসেবে পেনাল্টি আদায়সহ ফ্রিকিকের মাধ্যমে গোলদানে সক্ষমতা অর্জন করেন এবং শেষ মৌসুমে দলনেতার ভূমিকায় আসীন হন। ইন্টারে থাকাকালীন ডার্বি ডেলা ম্যাডোনিনায় প্রবল প্রতিপক্ষ এসি মিলানের বিরুদ্ধে অনেক গোল করেন। ১৯৯৭ সালে ২য় বারের মতো ফিফা কর্তৃক বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান ও ব্যলন ডি’অর অর্জন করেন। পরের বছর অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপের পর ফিফা ঘোষিত ২য় বারের মতো বছরের সেরা খেলোয়াড় হন এবং ৩য় বারের মতো সেরা ইউরোপিয়ান ফুটবলারের সম্মান পান। এই অর্জনগুলো তার ক্যারিয়ারসহ পরিস্কারভাবে এবং ব্যাপকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে সবাই মেনে নেয়।
নভেম্বর ২১, ১৯৯৯ সালে সিরি এ ম্যাচে লিসি’র বিরুদ্ধে খেলা চলাকালীন রোনাল্দো হাঁটুতে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন ও মাঠে গড়াগড়ি খান। ডাক্তারী পরীক্ষায় দেখা যায় তিনি হাঁটুতে ফাঁটল ধরেছে এবং অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পরে। এপ্রিল ১২, ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো মাঠে ফিরে আসেন। কিন্তু লাজি’ও বিরুদ্ধে কোপা ইটালিয়া প্রতিযোগিতার ১ম পর্বের ফাইনালে তিনি মাত্র ৭ মিনিট খেলে পুণরায় ২য় বারের মতো হাঁটুতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। দুই দুইবার অপারেশন এবং কয়েকমাস বিশ্রামে থেকে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে নিজেকে মেলে ধরেন ও ব্রাজিলকে ৫ম বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে সহায়তা করেন। পরে ২০০২ সালে রোনাল্দো ৩য় বারের মতো বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান এবং ইন্টার থেকে রিয়াল মাদ্রিদে চলে যান। ইতালীয় সংবাদপত্রে রোনাল্দো তার অন্যতম পরিচিত ডাক নাম হিসেবে ইল ফিনোমেনো নামকে পরিচিত ঘটান। টাইমস অনলাইন কর্তৃক ইন্টারের সর্বকালের সেরা ২০ জনের একজন হিসেবে মনোনীত হন এবং একমাত্র শারীরিক আঘাতই তাকে উচ্চতম আসনে উঠতে বাঁধা দেয়। তিনি নেরাজুরিতে ৯৯ খেলায় ৫৯ গোল করেন।
২০০২-২০০৭: রিয়েল মাদ্রিদ.
রোনাল্দো ৩৯ মিলিয়ন পাউণ্ডের বিনিময়ে রিয়েল মাদ্রিদের সাথে চুক্তিনামায় স্বাক্ষরের পর তার জার্সি নম্বর প্রথম দিনেই সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে। অক্টোবর, ২০০২ পর্যন্ত আঘাতের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন কিন্তু তার সমর্থকেরা তার নাম ধরে উজ্জ্বীবিত করার প্রাণান্ত চেষ্টা করে। রিয়েল মাদ্রিদের পক্ষে অভিষেকেই দু’টি গোল করেন। তিনি সান্টিয়াগো বারনেবিউ থেকে অভিবাদন গ্রহণ করেন। একই অভিবাদন গ্রহণ করেন এথলেটিক বিলবো’র বিরুদ্ধে চূড়ান্ত খেলায় গোল করে ১ম মৌসুমেই ২৩ গোল করে লা লিগা চ্যাম্পিয়নশীপ শিরোপা লাভে সহায়তা করেন। রিয়েলে থাকাকালীন ২০০২ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ এবং ২০০৩ সালে স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ে অবদান রাখেন। চ্যাম্পিয়নস লীগের ২য় পর্যায়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন ও ম্যান.ইউ-কে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় করেন। রিয়েল ২০০৩-০৪ মৌসুমে রোনাল্দো’র আঘাতের পূর্ব পর্যন্ত জয়ের ধারায় আসে ও অপ্রতিদন্দ্বী হয়ে উঠেছিল এবং কোপা ডেল রে ফাইনালে হেরে যায়, চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় ও লীগে ছন্দপতনের অধ্যায় শুরু হয়। এই মৌসুমে তিনি ২৪ গোল করে লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন এবং দল ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হারলেও পিচিচি এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। রিয়েল মাদ্রিদ আর্সেনালের কাছে হেরে শেষ ষোলতে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয় ও তৃতীয়বারের মতো ট্রফিবিহীন অবস্থায় দিন কাটায়। রিয়েল মাদ্রিদে থাকাকালীন তাদের বৃহত প্রতিপক্ষ হিসেবে এটলিকো মাদ্রিদ ও বার্সোলোনার মতো দলগুলোর বিরুদ্ধে রোনাল্ডো গোল করেছিলেন। রুদ ভ্যান নিস্টেলরুইকে ২০০৬ সালে সাথে পেয়ে রোনাল্দো ইনজুরী ও ওজন বৃদ্ধির বিষয়গুলোকে পাশ কাটিয়ে দলের ম্যানেজার ফ্যাবিও ক্যাপিলো’র সহায়তায় আরো আগ্রাসী হয়ে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে তোলেন।
২০০৭-২০০৮: এসি মিলান.
১৮ জানুয়ারী, ২০০৭ তারিখে জানা যায়, রোনাল্দো এসি মিলানের সাথে ৭.৫ মিলিয়ন পাউণ্ডের বিনিময়ে দল বদল করেছেন। রোনাল্দো চুক্তির বাকী সময়ের অর্থ প্রদান করে তবেই রিয়েল মাদ্রিদ ত্যাগ করতে পারবেন। কিন্তু এসি মিলান ঐ পরিমাণ অর্থ প্রদানে প্রস্তুত ছিল না। বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২৫ তারিখে রোনাল্দো মাদ্রিদ থেকে মিলানে চলে যান এসি মিলানের পক্ষে রোমা’র বিরুদ্ধে খেলার জন্য। ক্লাবের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, রোনাল্দো চিকিতসার জন্য মিলানে গিয়েছিলেন এবং রিয়েল মাদ্রিদের কর্মকর্তাদের সাথে এসি মিলানের একটি মিটিং সোমবারে অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ জানুয়ারি মিলানেলো ট্রেনিং কমপ্লেক্সে রোনাল্দো ক্লাবের ডাক্তারদের উপস্থিতিতে মেডিক্যাল টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ও সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন এবং দলে ৯৯নং জার্সিধারী খেলোয়াড় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০০৭ তারিখে অনুষ্ঠিত অভিষেক ম্যাচে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন এবং ২-১ গোলে লিভোরনো দলের বিরুদ্ধে জয়ী হন। ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০০৭ তারিখে সিয়েনায় অনুষ্ঠিত পরের খেলায় রোনাল্দো দু’টি গোল করেন এবং পরে ৩য় গোল করে ৪-৩ গোল করে শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় দলকে জয়ী করে শুভ সূচনা করেন। প্রথম মৌসুমে তিনি ১৪ খেলায় ৭ গোল করেন।
এসি মিলানে অবস্থান করায় মিলান ডার্বিতে রোনাল্দো গুটিকয়েক খেলোয়াড় হিসেবে ইন্টার মিলান ও এসি মিলান উভয় দলের পক্ষে অংশ নিয়ে দু’দলেই গোল করেন (ইন্টার মিলানে ৯৮-৯৯ মৌসুম এবং এসি মিলানে ২০০৬-০৭ মৌসুমে)। এই বিরল সৌভাগ্যে অন্যজন হলেন - লাতান ইব্রাহিমোভিক। এছাড়াও, রোনাল্দো গুটিকয়েক খেলোয়াড়ের একজন হিসাবে প্রবল প্রতিপক্ষ রিয়েল মাদ্রিদ ও বার্সোলোনার মতো দলে খেলে মাতিয়ে তোলেন। অধিকন্তু, রোনাল্দো কখনোই সরাসরি প্রতিপক্ষের দলগুলোর সাথে স্থানান্তরিত হননি। শারীরিক অসুস্থতা ও ওজন সমস্যায় পড়ে রোনাল্দো মাত্র ৩০০ মিনিটের বেশি সময় এই মৌসুমে খেলেন। তিনি সান সিরোয় অনুষ্ঠিত নেপোলীর বিরুদ্ধে ৫-২ গোলে জয়ী দলে একমাত্র গোল করেন ও গোলটি তাকে স্মরণীয় করে রাখে। এই প্রথম এসি মিলানে অনেক আক্রমণাত্মক ভঙ্গীতে কাকা, আলেকজান্দ্রো পাতো ও রোনাল্দো’র মতো ত্রয়ী স্ট্রাইকার নামায় যা কা-পা-রো নামে তাদেরকে একত্রে ডাকা হতো। এসি মিলানের পক্ষে ২০ খেলায় ৯ গোল করেন রোনাল্দো।
এতগুলো সাফল্য স্বত্ত্বেও রোনাল্দো তার ক্লাব ক্যারিয়ারে ইউইএফএ চ্যাম্পিয়নস্ লীগে জয়ী হতে পারেননি। ২০০৬-০৭ মৌসুমে এসি মিলান শিরোপাধারী হলেও মাদ্রিদের বিরুদ্ধে খেলায় অনির্ধারিত কারণে অংশ নেননি। সম্ভবতঃ তিনি ২০০৩ সালে রিয়েল মাদ্রিদকে সেমি-ফাইনালে উঠালেও জুভেন্টাসের কারণে হেরে যান বিধায় অংশ নেননি।
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০০৮ তারিখে রোনাল্দো কয়েকবার হাঁটুর আঘাতের কারণে স্টেচারে করে মাঠের বাইরে যান ও হাসপাতালে যেতে বাধ্য হন। ঐ খেলায় এসি মিলান লিভোরনোর সাথে ১-১ গোল করে ড্র করতে বাধ্য হয়। এসি মিলান ম্যাচ শেষে জানায় রোনাল্দো তার বাম পায়ের হাঁটুতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। ডান পায়ে ১৯৯৮ ও ২০০০ সালে আঘাতের পর এটি ৩য় বারের মতো ডান পায়ে আঘাতে ঘটনা ঘটলো রোনাল্দোর জীবনে। ঐ মৌসুম শেষে চুক্তি নবায়ণ না হওয়ায় তিনি মিলান থেকে ছাড়া পান।
২০০৯-২০১১: করিন্থিয়াস.
রোনাল্দো হাঁটুতে অস্ত্রোপাচার শেষে ফ্ল্যামিংগোতে যোগদানের আগ্রহ দেখালে ক্লাবের পরিচালনা পরিষদ জানায়, তিনি যে কোন সময় যোগদান করতে পারেন ও তার জন্য জন্য ক্লাবের দরজা খোলা। কিন্তু, ৯ ডিসেম্বর তিনি ফ্ল্যামিংগোর লীগ প্রতিপক্ষ করিন্থিয়াসের সাথে ১ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই ঘোষণাটি ব্রাজিলের প্রচার মাধ্যমে খুবই প্রচারণা পায় যে তার ভালবাসা ফ্ল্যামিংগোর চেয়ে করিন্থিয়াসেই বেশি যদিও রোনাল্দো ঘোষণা করেছিলেন তিনি ফ্ল্যামিংগো সমর্থক এবং কখনো প্রতিপক্ষে যোগ দেবেন না।
৪ মার্চ, ২০০৯: এস্টাডো জুসিলিনো কুবিটসেকে অনুষ্ঠিত কোপা ডো ব্রাজিল কাপে ১ম ম্যাচ খেলেন জর্গ হেনরিকের পরিবর্তে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ইতুম্বিয়ারার বিরুদ্ধে। করিন্থিয়াসের পক্ষে ক্যাম্পিওনাটো পাওলিস্টা কাপে পালমেইরাসের বিরুদ্ধে ১ম গোল করেন ৮ মার্চ, ২০০৯ তারিখে। তিনি ক্যাম্পিওনাটো পাওলিস্টা কাপে ১৪ খেলার মধ্যে ১০ গোল করে করিন্থিয়াসকে জয়ী হতে সাহায্য করেন।
রোনাল্দো ইন্টারনাসিওনালকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে করিন্থিয়াসকে ৩য় বারের মতো (ক্যারিয়ারে ২য়) ব্রাজিল কাপ জয়ে সাহায্য করেন। এছাড়াও কোপা লিবেরাটাডোরস ২০১০ জয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত গোয়িয়াসের বিপক্ষে খেলে পুণরায় মাঠে ফিরে আসেন। ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তারিখে তিনি সাও পাওলোর বিপক্ষে গোল করে ১-১ ড্র করতে সাহায্য করেন।
তিনি ব্রাজিলীয় সিরি এ ২০০৯ লীগে ২০ খেলায় ১২ গোল করেন।
ফেব্রুয়ারী ২০১০ সালে রোনাল্দো চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেন। এতে করে তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত খেলবেন ও এরপরই তিনি ক্রীড়াঙ্গন থেকে অবসর নিবেন।
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলাম্বিয়ান দল ডিপোর্টেস টোলিমা'র কাছে পরাজিত হযে করিন্থিয়াস ২০১১ সালের কোপা লিবারট্যাডোরসে খেলার যোগ্যতা হারায়। এর পরপরই তিনি ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে.
১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের পক্ষে রেকাইফে অনুষ্ঠিত আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচের মাধ্যমে রোনাল্দোর আন্তর্জাতিক খেলায় অভিষেক হয়। ঐ বছরই যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে ১৭ বছর বয়সী রোনাল্দো কোন ম্যাচ খেলেননি। তিনি রোনাল্দিনহো (পর্তুগীজ শব্দ লিটিল রোনাল্দো) নামে পরিচিত ছিলেন কেননা তার বড় ও দলীয় সঙ্গী হিসেবে রোনাল্দো রডরিগুয়েজ ডি জিসাস টুর্ণামেন্টে রোনাল্দো নামে এবং ডাক নাম হিসেবে রোনাল্দাও (বড় রোনাল্দো) অংশ নেন। ফলে তাদের চিহ্নিত করণে যথাক্রমে লিটিল ও বিগ রোনাল্দো হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। এছাড়াও ব্রাজিলীয় খেলোয়াড় হিসেবে রোনাল্দো ডি আসিস মোরিয়েরা নামে একজন খেলোয়াড় ছিলেন, তিনি রোনাল্দিনহো নামে চিহ্নিত ও রোনাল্দিনহো গাওচো হিসেবে ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলের প্রধান জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন।
১৯৯৬ সালে আটলান্টায় আয়োজিত অলিম্পিক গেমসে রোনাল্দো তার শার্টে রোনাল্দিনহো নামে মাঠে নামেন দু’বছরের বড় রোনাল্দো গুইয়ারোর জন্য। অলিম্পিকে ব্রাজিল ব্রোঞ্জ মেডেল জয়ী হয়।
১৯৯৬ ও ১৯৯৭ সালের ফিফার বছরের সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদার অধিকারী রোনাল্দো ১৯৯৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপে ৪ গোল করে তিনটি সম্মাননা লাভ করেন। ফাইনালের আগে তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ না হলেও কোচ মারিও জাগালোকে প্রভাবান্বিত করে খেলেন। কিন্তু ফ্রান্সের গোলরক্ষক ফাবিয়েন বার্থেজের সাথে পুণরায় সংঘর্ষে পড়েন ও আঘাতপ্রাপ্ত হন। খেলায় ব্রাজিল স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে ৩-০ গোলে হেরে যায়। ব্রার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল নিওরোলজি বিভাগের অধ্যাপক আর্দ্রিয়ান উইলিয়ামসের মতে, “রোনাল্দো অস্ত্রোপাচারের পর স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেননি এবং ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তিনি তার সেরা দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেন না - যদিও তিনি তা পারেননি।”
২০০২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে রোনাল্দো পুণরায় তার দক্ষতা দেখিয়ে রেকর্ডসংখ্যক ৫ম বারের মতো ব্রাজিলকে জয়ী করান এবং তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে ৮ গোল করে গোল্ডেন সু জয়ী হন ও গোল্ডেন বলের পুরস্কারে রানার-আপ হয়ে টুর্ণামেন্টের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় মনোনীত হন। তিনি কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোলবিহীন অবস্থায় থাকলেও টুর্ণামেন্টের প্রতিটি প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে গোল করেন। ফাইনাল খেলায় জার্মানীর বিরুদ্ধে তার একাদশ ও দ্বাদশ গোল করার মাধ্যমে বিশ্বকাপে পেলের ১২ গোলের সমকক্ষ হন।
২ জুন ২০০৪: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে পেনাল্টির মাধ্যমে অপ্রত্যাশিতভাবে হ্যাট্রিক করে ব্রাজিলকে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ খেলায় উত্তীর্ণ ঘটান।
২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিল তাদের গ্রুপের প্রথম দু’টি খেলায় ক্রোয়েশিয়া ও অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ী হয় যাতে রোনাল্দো অতিরিক্ত ওজনধারী ও গতিহীন ছিলেন। এরপরও কোচ কার্লোস আলবার্তো পেরেইরা অতিরিক্ত সময়ে তাকে খেলান ও ৩য় খেলায় জাপানের বিপক্ষে দু’টি গোল করে ২০তম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপে গোল করার বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হন এবং বিশ্বকাপে গার্ড মুলারের রেকর্ডসংখ্যক ১৪ গোলের সমকক্ষ হন (রোনাল্দো ফ্রান্স ৯৮, কোরিয়া / জাপান ২০০২ এবং জার্মানী ২০০৬) এবং শেষ ১৬ দলের একটি দল ঘানার বিপক্ষে ১৫তম গোল করে মুলারের রেকর্ড ভঙ্গ করেন। মৃদুভাষী রোনাল্দো ২০০৬ বিশ্বকাপে তার ৩য় গোল করে জার্গেন ক্লিনস্ম্যানের পর ২য় খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিটি বিশ্বকাপে কমপক্ষে ৩ গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। যদিও কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ১-০ গোলে হেরে ব্রাজিল বিদায় নেয়।
ব্যক্তিগত জীবন.
১৯৯৭ সালে রোনাল্দো ব্রাজিলীয় মডেল ও অভিনেত্রী সুসানা ওয়ার্নারের সাথে ব্রাজিলীয় টেলিনোভেলা মালহাকাওয়ে তিনটি পর্বে একত্রে অভিনয় করে একে-অপরের সাথে পরিচিত হন। কিন্তু বিয়ে না করেই দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক বজায় রাখেন ও ১৯৯৯ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত মিলানে একত্রে বাস করেন। এপ্রিল, ১৯৯৯ সালে রোনাল্দো ব্রাজিলীয় প্রমিলা ফুটবলার মিলেনে ডোমিনগুয়েজকে বিয়ে করেন ও তাদের প্রথম সন্তান রোনাল্দ জন্ম নেয়। ২০০৫ সালে রোনাল্দো ব্রাজিলীয় মডেল এবং এমটিভি ভিজে দানিয়েলা সিকারেলির সাথে সম্পর্ক গড়েন। চাটিও ডি চানটিলিতে অনুষ্ঠিত বিয়েটি মাত্র ৩ মাসে টেকে। অনুষ্ঠানে ৭ লক্ষ ইউরো ব্যয় হয় বলে জানা যায়। এছাড়াও, রোনাল্দো ব্রাজিলীয় সুপার মডেল রাইকা অলিভিরার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন যা ডিসেম্বর, ২০০৬-এ শেষ হয়ে যায়।
| null |
1ae8c13ee7 | আবেদন ফরম সংগ্রহ, বিবরণী ফরমসহ এবং প্রয়োজনীয় ফি জমাদানের তথ্যসিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য ২০১০ সালের জেএসসি পরীক্ষার আবেদন ফরম সংগ্রহ, ফিসের হার, বিবরণী ফরমসহ এবং প্রয়োজনীয় ফি জমাদানের তারিখ ও পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যাবলি নিচে দেওয়া হলো।পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা: কেবলমাত্র ওই শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০১০ সালের জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। পরীক্ষার ফি: (প্রতি পরীক্ষার্থীর জন্য) প্রতি উত্তরপত্র ফি ১৫, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সনদপত্র ফি ১৫, বিলম্ব ফিসহ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ৫০ টাকা। ব্যাংক ড্রাফট এবং আনুষঙ্গিক কাগজপত্র গ্রহণ ও জমাদানসংক্রান্ত তথ্য:(ক) আবেদন ফরম ও বিবরণী ফরমসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র বোর্ড থেকে গ্রহণের তারিখ:# হবিগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ: ১২-০৭-২০১০।# মৌলভীবাজার জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ: ১৩-০৭-২০১০।# সুনামগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ: ১৪-০৭-২০১০।# সিলেট জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ: ১৫-০৭-২০১০।(খ) ব্যাংক ড্রাফট ক্রয়: # বিলম্ব ফি ব্যতীত ব্যাংক ড্রাফট ক্রয়ের শেষ তারিখ: ১৮-০৭-২০১০।# বিলম্ব ফিসহ ব্যাংক ড্রাফট ক্রয়ের শেষ তারিখ: ২৫-০৭-২০১০।(গ) বিলম্ব ফি ব্যতীত ব্যাংক ড্রাফট, আবেদন ফরম ও বিবরণী ফরমসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র বোর্ডে জমাদানের তারিখ:# হবিগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ: ২০-০৭-২০১০।# মৌলভীবাজার জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ: ২১-০৭-২০১০।# সুনামগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ: ২১-০৭-২০১০।# সিলেট জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ: ২২-০৭-২০১০।(ঘ) বিলম্ব ফিসহ ব্যাংক ড্রাফট, আবেদন ফরম ও বিবরণী ফরমসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র বোর্ডে জমাদানের তারিখ (সকল জেলা): ২৭-০৭-২০১০। | null |
qzm2vfsokt | ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণার পরই একজন পদত্যাগ করেছেন। কমিটিতে প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলন শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ১৭ সদস্যের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পরই পদত্যাগ করেন মো. সাফায়েত হোসেন ভূঁইয়া। তাঁকে নতুন কমিটিতে দপ্তর সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছিল।
পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাফায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিগত একাধিক নির্বাচনে যারা নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিরোধিতা করে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষোভ থেকে তিনি পদত্যাগের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সাফায়েত হোসেন ভূঁইয়া গতকালই তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পদত্যাগের বিষয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। লিখিত পদত্যাগপত্র আজ শনিবার জেলা আওয়ামী লীগে কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেবেন। পরে তিনি নিজের ফেসবুক পেজে আপলোড করা পদত্যাগ বিবৃতির একটি কপি এ প্রতিনিধির কাছে পাঠিয়ে দেন।
সাফায়েত হোসেন ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যে নেতার নামগন্ধ ছিল না। যাঁর নামে কোনো স্লোগান উচ্চারিত হয়নি। যিনি কোনো পোস্টার-ব্যানার লাগিয়ে প্রচারণা করেননি। এমন একজন নেতাকে নতুন কমিটিতে বড় পদ দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি ছাত্রজীবনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। যুবলীগের শীর্ষস্থানীয় পদে থেকে সাংগঠনিক রাজনীতি করেছি। দলের প্রয়োজনে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি। অথচ ১৭ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটিতে আমাকে দেওয়া হয়েছে ১৪ নম্বর ক্রমের দপ্তর সম্পাদক পদ। এটি তো মাঠ পর্যায়ের একজন নেতার সরাসরি অপমান। দল থেকে বহিষ্কৃত নেতাদের কমিটিতে যদি বড় পদ দেওয়া হতে পারে, তাহলে আদর্শে অটল নেতাকে কী মূল্যায়ন করা হলো।’
সাফায়েত হোসেন আরও বলেন, এ পরিস্থিতিতে তিনি পরিবারের সদস্যদের আরও বেশি সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই নতুন কমিটির দপ্তর সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের প্যাডে লিখে দেওয়া ১৭ সদস্যবিশিষ্ট ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুছ ছাত্তার সভাপতি ও মো. ছাফির উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। | null |
5ce852a1db | প্রস্তাবটা ছিল পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের। সে অনুযায়ী সাফ ফুটবলের প্রস্তুতির জন্য আগামী ১১ আগস্ট ঢাকায় খেলতে আসছে পাকিস্তান ফুটবল দল। কাল বাফুফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে এটি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ম্যাচ দুটি হবে ১৩ ও ১৬ আগস্ট। আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে ফিফার স্বীকৃতি মিলবে কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয় বাফুফে। তবে এ জন্য এএফসিতে আবেদন করা হবে। সাফের প্রস্তুতির জন্য দুটি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দলের এ সপ্তাহেই থাইল্যান্ডে সফরে যাওয়ার কথা ছিল। এখন যাওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক হয়েছে ২৭ জুলাই। | null |
29b33a5fd7 | ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে ৭৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি উচ্চ ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠে দেশটির প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট চালর্স দ্য গলকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ কারণে ওই লাইনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, তিনি প্রায় দুই ঘণ্টায় ১৬০ ফুটের বৈদ্যুতিক খুঁটিটি বেয়ে ওঠেন। চার লাখ ভোল্টের লাইন থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরে তিনি বসে ছিলেন। ওই লাইন দিয়ে স্পেনে বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হয়।ফ্রান্সের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আরটিই এক বিবৃতিতে জানায়, ‘নিরাপত্তার জন্য ওই লাইনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এ কারণে ওই এলাকায় বা স্পেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিঘ্ন ঘটেনি।’আজ সকালে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা ও পুলিশের সঙ্গে তাঁর সমঝোতায় তিনি নেমে আসেন। তাঁর এমন কাণ্ডের উদ্দেশ্য তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যায়নি। তবে, তিনি একজন রাজনৈতিক কর্মী বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।তিনি ব্যানারে দেশটির যুদ্ধকালীন নেতা ও ১৯৭০ সালে মারা যাওয়া প্রেসিডেন্ট চালর্স দ্য গলকে আসন্ন ২০১৭ সালের নির্বাচনে আবারও প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে আহ্বান জানান। এমন কাণ্ডে তাঁকে আইনগত ব্যবস্থার মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছে আরটিই। | null |
2614b95033 | রাজধানীর আজিমপুরে গতকাল মঙ্গলবার দিনদুপুরে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা একটি গাড়ির ভেতর গুলিবিদ্ধ হন, গাড়িটির সামনের কাচে থাকা স্টিকারে ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’ লেখা লোগো ছিল। গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন মনির হোসেন (৩৭) ও মোশাররফ হোসেন (৪২)। র্যাব তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
র্যাব বলেছে, আহত ব্যক্তিরা ছিনতাইকারী। তবে আহত দুজনের দাবি, তাঁরা ছিনতাইকারী নন।
র্যাবের ভাষ্য, র্যাব-১০ জানতে পারে যে ছয়-সাতজন দুর্বৃত্ত একটি মাইক্রোবাস ও দুটি কার নিয়ে আজিমপুরে এতিমখানা মোড়ে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে বেলা আড়াইটার দিকে একটি মাইক্রোবাস ও একটি কার পালিয়ে যায়। এতিমখানা মোড়ের কাছে দক্ষিণ দিকে রাখা অপর কারটি নিয়ে ছিনতাইকারীরা পালানোর চেষ্টা করে। তখন র্যাবের সদস্যরা কারটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। কারের ভেতর থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে কারে থাকা দুই ছিনতাইকারী আহত হন। র্যাব আহত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে জানতে পারে, তাঁদের নাম মনির ও মোশাররফ। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। মনিরের বাঁ ঊরুতে ও শরীরের পশ্চাৎভাগে এবং মোশাররফের ডান ঊরুতে গুলি লেগেছে।
রাতে র্যাব-১০-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাইক্রোবাস ও কার ধাওয়া করার সময় দুটি মোটরসাইকেলে থাকা কনস্টেবল বিপ্লব ও মেহেদী আহত হন।
ঘটনাস্থলের কাছের এক চা-দোকানিপ্রথম আলোকে বলেন, ‘রিকশার টায়ার ফাটার মতো শব্দ পাইয়া চাইয়্যা দেহি র্যাব একটি কারের নিচের দিকে গুলি করতেছে। র্যাব চার-পাঁচটার মতো গুলি করে।’ ওই চায়ের দোকানে বসা এক ছাত্র বলেন, তিনি র্যাবকে গুলি ছুড়তে দেখেছেন।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, সিলভার রঙের কারটি থেকে গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তিকে বের করছে র্যাব। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে র্যাব-১০-এর কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীপ্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুজন সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের সদস্য। তাঁরা চকবাজার ও আজিমপুর এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতি করেন। দুপুরে তিনটি গাড়িতে করে তাঁরা বড় ধরনের ছিনতাই ও ডাকাতি করার জন্য আজিমপুরে অবস্থান নিয়েছিলেন। র্যাবের গোয়েন্দাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইয়ের নেতৃত্বে থাকা দলটি একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেট কার নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে পেছনে থাকা দলটি র্যাবের অভিযানের মুখে পড়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। র্যাব ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত কারটিতে (ঢাকা মেট্রো গ ১৯-৫০৫৭) তল্লাশি চালিয়ে ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি দুটি পিস্তল, দুটি গুলি ও চালকের লাইসেন্স উদ্ধার করে। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা পুলিশ ও ডিবি পরিচয় দিয়ে ছিনতাই করে আসছিলেন।
গ্রেপ্তার হওয়া মনির হোসেনপ্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তিনি কারটির চালক। আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তি সারা দিনের জন্য কারটি তিন হাজার টাকায় ভাড়া নেন। ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি এতিমখানার কাছে গাড়িটি থামাতে বলেন। তিনি সপরিবার খিলগাঁওয়ের ভূঁইয়াপাড়ায় থাকেন।
আহত অপরজন মোশাররফ হোসেন দাবি করেন, তিনি ক্যান্টনমেন্ট বাজারের মাছ ব্যবসায়ী। কিছুদিন আগে জলিলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। একটি মামলার বাদী হিসেবে তিনি আদালতে গিয়েছিলেন। জলিল বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাকায় আজিমপুরে যান। বেড়ানোর জায়গা সম্পর্কে জলিল তাঁকে কিছু বলেননি।
এর আগে ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় আজিমপুর চৌরাস্তা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের কাছে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলমগীর হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত ও আবদুল বারেক (৪৫) নামের আরেকজন আহত হন। র্যাব বলেছে, হতাহত ওই দুই ব্যক্তি ছিনতাইকারী। | null |
270dbb27c6 | ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় এক নারী পোশাকশ্রমিক এবং সখীপুরে এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দুই স্থানে দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।গত বুধবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই নারী পোশাককর্মীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নান্দাইল উপজেলার ফরিদাকান্দা গ্রাম থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ওই নারী পোশাকশ্রমিক বলেন, তাঁর বাড়ি পাকুন্দিয়া উপজেলায়। গত রমজানে ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পথে বাসে কটিয়াদির পং মশুয়া এলাকার আশিক হাসান ওরফে শুভর (২৩) সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর তাঁদের দুজনের মধ্যে মুঠোফোনে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে আশিক গত শুক্রবার তাঁকে মুঠোফোনে ডেকে আনেন। পরে আশিক তাঁকে নান্দাইলের ফরিদাকান্দা গ্রামের এক অটোরিকশা চালকের বাড়িতে চার দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।ওই এলাকার গ্রাম পুলিশ মো. হারিছ উদ্দিন বলেন, গ্রামবাসীর মুখে নারী নির্যাতনের অভিযোগ শুনে তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁদের দুজনকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও নান্দাইল থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ওই নারীর বাবা নান্দাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফ বলেন, আশিককে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী ও সখীপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নের গড়বাড়ি গ্রামের কলেজছাত্র আল আমিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত বুধবার ওই ছাত্র তাঁকে ফুসলিয়ে বনে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ওই মেয়েটি বাদী হয়ে গতকাল আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে ওই কলেজছাত্রের বাবার দাবি, তাঁর ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার। ছেলেকে ফাঁসাতে ওই মেয়েটি নাটক করেছেন।সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামসুল হক বলেন, আদৌ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা প্রমাণের জন্য মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আল আমিনকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। | null |
2e91d02954 | রাজধানীর অন্যতম প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র চকবাজার, মৌলভীবাজার ও বেগম বাজারের প্রায় সব সড়ক খানাখন্দে ভরা। ফলে পণ্যবাহী যান উল্টে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সঙ্গে তীব্র যানজট তো আছেই।স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চকবাজার, মৌলভীবাজার ও বেগম বাজারের ভাঙাচোরা সড়কে দিনের প্রায় ১৮ ঘণ্টাই যানজট লেগে থাকে। ফলে ক্রেতাসহ সবাইকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই এলাকাগুলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২৮ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত।সরেজমিনে দেখা যায়, মৌলভীবাজার, চকবাজার ও বেগম বাজারের অধিকাংশ সড়কের প্রশস্ততা ১০ থেকে ১৫ ফুট। এই সড়কগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় খানাখন্দে ভরে আছে। সড়কে উড়ছে ধুলাবালি। চকবাজারের চারপাশে রাখা মালামাল পরিবহনের ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি। এতে প্রায় অর্ধেক সড়ক দখল হয়ে আছে। সড়কে লেগে আছে যানজট। নির্বিকার হয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ। এ ছাড়া বেগম বাজার ও মৌলভীবাজারের প্রায় প্রতিটি সড়কে রয়েছে তীব্র যানজট। এসব এলাকায় যাতায়াতের প্রধান যানবাহন রিকশা। এলাকার সড়কগুলোতে দুটি রিকশা পাশাপাশি চলাই কঠিন। এই তিনটি এলাকায় প্রায় ২০ হাজার দোকান রয়েছে।মালামাল ভ্যানে নিয়ে মৌলভীবাজার-সংলগ্ন ওয়াটার ওয়ার্কস সড়কে যানজটে আটকে ছিলেন শরীয়তপুরের হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘ভাবছিলাম, মালামাল কিনে দ্রুত বাড়ি চলে যাব। কিন্তু মৌলভীবাজার থেকে এ পর্যন্ত আসতে সময় লাগছে প্রায় ৪৫ মিনিট। অথচ হেঁটে এলে সময় লাগত তিন-চার মিনিট। এখন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যেতে কত সময় লাগে, জানি না।’চকবাজারের রহমান ট্রেডার্সের মালিক রহমান মিয়া বলেন, বিকল্প স্থান না থাকায় সড়কেই ভ্যান রাখতে হয়। তবে মালামাল ওঠাতে বা নামাতে বেশি সময় নেওয়া হয় না।বেগম বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. সোহাগ বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এসব এলাকায় বৃষ্টি হলেই বাণিজ্যিক কার্যক্রম থমকে যায়। ভাঙাচোরা সড়কে কাদা-পানির মাখামাখির কারণে হেঁটে চলা দায়। ঠেলাগাড়ি, ভ্যান ও মালামাল বহনকারী পিকআপে যানজটের সৃষ্টি হয়।মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন সকাল আটটার পর থেকে এসব এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়, চলে রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত। এর মধ্যে সারাক্ষণই যানজট থাকে। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পাইকারি ক্রেতাদের পণ্য কিনতেই দিনের অধিকাংশ সময় ব্যয় হয়। ফলে ক্রেতাদের মধ্যে এই এলাকায় আসতে অনীহা তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় প্রায়ই এসব এলাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা। গত বছর ভ্যান উল্টে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়ে পঙ্গু জীবন যাপন করছেন অনেক শ্রমিক।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, পুরান ঢাকার এসব এলাকার অধিকাংশ সড়ক গড়ে ১৫ ফুট। ফলে ব্যবসায়ীরা সড়কে ঠেলাগাড়ি বা ভ্যান রাখলেই যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু বাধা দিতে গেলে উল্টো হুমকির শিকার হতে হয়।মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, ওই তিনটি বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করে সরকার। অথচ এই এলাকার রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা। তিনি চকবাজার, বেগম বাজার, মৌলভীবাজারসহ আশপাশের বাণিজ্যিক এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানান।জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে ডিএসসিসির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের তিনটি স্থানে সড়ক ও ড্রেন সংস্কারের কাজ চলছে। সড়কে যানজট কমাতে কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া রাত ১১টার আগে মৌলভীবাজারে ট্রাক প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে।’ | null |
a9y3dwy61h | সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকায় বরের অপেক্ষায় কনে সেজে বসেছিল কিশোরী। কনের বাড়িতেও চলছিল বিয়ের সব আয়োজন। এরই মধ্যে স্থানীয় কোনো এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল করে বাল্যবিবাহের বিষয়টি জানান। পরে জগন্নাথপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহটি বন্ধ করেছে। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে বরযাত্রীর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন কনেপক্ষের লোকজন। এমন সময় জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়।জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক দাস বলেন, ৯৯৯ থেকে আসা ফোনে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বিয়েটি বন্ধ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দুই পরিবারের সদস্যদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে জানানো হয়। পরে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের বাল্যবিবাহ না দেওয়ার জন্য মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
জগন্নাথপুর পৌরসভার কাউন্সিলর সুহেল মিয়া বলেন, ছেলে ও মেয়ে উভয়ের পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র ও অসচেতন। বাল্যবিবাহের বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর তা বন্ধ করা হয়েছে। | null |
e370aa799e | আগামী জাতীয় নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয় লাভ করে চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।আজ রোববার বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে এক সভায় সাঈদ খোকন এ মন্তব্য করেন। ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করার জন্য ওই যৌথ সভার আয়োজন করে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।সাঈদ খোকন বলেন, ‘চলতি বছরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭ মার্চ জনসভায় নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর এই বক্তব্য পাড়া মহল্লার সব মানুষের নিকট আপনারা পৌঁছে দেবেন। জনগণকে সংগঠিত করবেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই ভবিষ্যতে আমরা সরকার গঠন করব। এতে দেশ অর্থনৈতিক মুক্তির বাস্তব রূপ লাভ করবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হবে।’মেয়র বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেসকো কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করেছে। এটা আমাদের জন্য গৌরবের, অহংকারের। এই স্বীকৃতির ফলে যত দিন এই পৃথিবীতে মানব সভ্যতা থাকবে, তত দিন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ টিকে থাকবে।’
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক খন্দকার এনায়েত উল্যাহর সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ডিএসসিসি ৪২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু আহমেদ মন্নফী প্রমুখ বক্তব্য দেন। | null |
58bd9e8f58 | প্রাণ চাটনি স্মার্টফোন ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর প্রাণ-আরএফএল সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৩০ জন বিজয়ীকে একটি করে স্যামসাং গ্যালাক্সি জে-৫ সেট পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের ক্যাটাগরি ম্যানেজার তোষণ পাল ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্র্যান্ড ম্যানেজার সিফাত আহমেদ। এর আগে এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ৪৩ জন বিজয়ীকে স্মার্টফোন দেওয়া হয়। ‘প্রাণ চাটনি খাও সারা দিন, স্মার্টফোন জেতো প্রতিদিন’ স্লোগান নিয়ে গত ২২ ডিসেম্বর এ ক্যাম্পেইন শুরু হয়। বিজ্ঞপ্তি। | null |
zsxmchrw23 | জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী আবারও রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আজ রোববার তাঁর পুনর্নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ স্মারক জারি করে।
এর আগে জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী ২০১৯ সালে প্রথমবার সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। অর্থাৎ তিনি টানা দ্বিতীয়বার একই পদে নিয়োগ পেলেন। এর আগে তিনি ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। | 3,699 |
310e98e253 | বড় জয় দিয়েই এশিয়ান গেমস ক্রিকেট শুরু করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আজ ইনচনের ইয়েনহুই ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তারা নেপালকে হারিয়েছে ৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশের করা ১০৭ রানের জবাবে নেপালি মেয়েরা অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ২৬ রানেই।বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দারুণ বল করেছেন অধিনায়ক সালমা খাতুন। তিনি ৩ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১ রানের বিনিময়ে। সালমার পাশাপাশি রুমানাও ছিলেন দারুণ সফল। মাত্র ৪ রানের বিনিময়ে তাঁর ঝুলিতে গেছে ৩ উইকেট। এছাড়াও জাহানারা ১৩ রানে ২টি আর ফাহিমা মাত্র ২ রানে ২ উইকেট নিয়ে শেষ করে দেন নেপালের ইনিংস।নেপালি ব্যাটারদের কেউই দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছতে পারেননি। সর্বোচ্চ ১০ রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে।এর আগে, সকালে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করেছিল বাংলাদেশ। আয়েশা রহমানের অপরাজিত ফিফটিতে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তোলে ১০৭ রান। ৬০ বলে ২টি চারের সাহায্যে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন আয়েশা। লতা মণ্ডলের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।নেপালের সীতা রানা ২৪ রানে ২টি এবং সারিতা মাগার ১৯ রানে নেন ২ উইকেট। | null |
5e8b5cfc91 | আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটে লটারির ভুল টিকিটেই ২০ লাখ ডলার জিতে নিয়েছেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি লটারির টিকিট কেনার সময় দোকান থেকে তাঁকে চাহিদার চিকি না দিয়ে ভুল টিকিট দেওয়া হয়েছিল। আর এতেই তিনি বাজিমাত করে দিয়েছেন।
মিশিগান লটারি জানিয়েছে, লটারিজয়ী ব্যক্তি গাড়ির চাকায় বাতাস ভরার জন্য ইস্ট পয়েন্ট সিটির একটি গ্যাস স্টেশনে থামেন। এয়ার মেশিনের বিলের জন্য তাঁর ভাংতি অর্থের প্রয়োজন ছিল। ভাংতি টাকার সঙ্গে তিনি ১০ ডলার মূল্যের লাকি সেভেন স্ক্র্যাচঅফ টিকিটও চেয়েছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই লটারিজয়ী ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি স্ত্রীর গাড়ির টায়ারে বাতাস ভরার জন্য দোকানে থেমেছিলাম। তাঁর কিছু ভাংতি অর্থের প্রয়োজন ছিল। তিনি দোকানে গিয়ে ১০ ডলারের লাকি সেভেনের টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু দোকানের কর্মী তাঁকে ভুল করে ২০ ডলার মূল্যের টিকিট দিয়েছিলেন। ভুল টিকিট দিয়েছেন এটা বোঝার পর দোকানের কর্মী সেটি ফেরত নিয়ে ১০ ডলার মূল্যের টিকিট দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি ২০ ডলার মূল্যের টিকিটটি রেখে দিয়েছিলেন।
১৪ জুলাই এক বিবৃতিতে লটারিজয়ী ৫৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বলেন, পরে ওই দোকানে ২০ ডলার দিয়েই টিকিটটি তিনি নিজের কাছে রেখে দেন। পরে লটারির ফলাফলে ২০ লাখ ডলার জয়ী হন। লটারিতে জিতে নেওয়া এই অর্থ দিয়ে তিনি একটি বাড়ি কিনবেন এবং বাকি অর্থ সংরক্ষণ করবেন বলে জানা গেছে। | null |
64330d8a60 | ৮০ বছরের বয়স্ক শরীরটা যেন দুদণ্ড শান্তিতেও থাকতে দিচ্ছে না পেলেকে! বাড়ির চেয়ে হাসপাতালেই ইদানীং বেশি দিন কাটাতে হচ্ছে ব্রাজিল কিংবদন্তিকে।
এই তো, গত মঙ্গলবারই আইসিইউ থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু তিন দিনও হয়নি, আজ কিছুক্ষণ আগে আবার আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে পেলেকে!
আজ শুক্রবার অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে তাঁর শরীর কিছুটা খারাপ হওয়ায় পেলেকে আইসিইউতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে ‘ফুটবলের রাজা’কে।
তবে ইএসপিএন ব্রাজিল জানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত স্থিতিশীলই আছে পেলের শারীরিক অবস্থা। তাঁর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে রাখতেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পেলেকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
পেলের কাছের মানুষ বা আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের কেউই এখনো অবশ্য কোনো বিবৃতি দিয়ে কিছু জানায়নি। ব্রাজিলের স্থানীয় সময় শুক্রবারের মধ্যে কোনো বিবৃতি আসার সম্ভাবনা কম বলেই জানাচ্ছে ইএসপিএন ব্রাজিল।
গত ৩১ আগস্ট থেকেই হাসপাতাল-বাড়ি করে দিন কাটছে পেলের। ব্রাজিলের জার্সিতে ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি আগস্টের শেষ দিকে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন, সেখানে চেকআপে তাঁর কোলন টিউমার ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত, ৪ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচার করা হয়।
টিউমার পর্যালোচনা করে কী বোঝা গেছে, সেটি অবশ্য কখনো জনসমক্ষে জানানো হয়নি।
অস্ত্রোপচারের পর আইসিইউতেই ছিলেন পেলে। গত মঙ্গলবার ছাড়া পান। বাসায় ফেরার পর অবশ্য পেলে সেদিন নিজের শারীরিক অবস্থা বোঝাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মজা করে লিখেছিলেন, ‘প্রতিদিনই আরও আনন্দে কাটাচ্ছি। এখনো ৯০ মিনিটের পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় খেলার মতো ফিট আছি।’ শেষে লিখেছিলেন, ‘আবার দেখা হবে আমাদের।’
সেই প্রার্থনাতেই আজ আবার নিশ্চিত বসে গেছেন লাখো ব্রাজিলিয়ান। দেশ, সমর্থন নির্বিশেষে শতকোটি ফুটবলপ্রেমীও কি বসেননি! | null |
k4n9bljtw8 | বাংলাদেশে কার সমর্থক বেশি? ব্রাজিল না আর্জেন্টিনা?
ঢাকা আবাহনীর নতুন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ব্রুনো মাতোসের প্রশ্ন। কঠিন এক প্রশ্ন! আসলেই তো, ব্রাজিলের সমর্থন বেশি না আর্জেন্টিনার, এমন কোনো হিসাব যে নেই। তবে বিশ্বকাপের সময় আর্জেন্টিনা নিয়ে প্রবল উন্মাদনা ব্রাজিলকে যে কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে, এটা একটু সাহসী হয়ে বলে ফেলা যায়। লিওনেল মেসির ভক্ত যে বরাবরই বেশি। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে তাদের সমর্থন বাড়াটা স্বাভাবিক। ব্রাজিল যে বিশ্বকাপ পায় না ২১ বছর পেরিয়ে গেছে।
ব্রুনো অবশ্য এত সব হিসাব মেলাতে নারাজ। বাংলাদেশে খেলতে আসবেন নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে নেটে এ দেশ, এ দেশের মানুষ আর ফুটবল নিয়ে জানা ও বোঝার চেষ্টা করছেন। তাঁর ধারণা, বাংলাদেশে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার সমর্থন প্রায় সমান। গুগলে সার্চ দিয়ে বাংলাদেশে যে পরিমাণ ব্রাজিলের পতাকা ওড়ার ছবি দেখেছেন, তাতে তিনি রীতিমতো বিস্মিত। মুগ্ধ তো বটেই, ‘বাংলাদেশে এত ব্রাজিলের পতাকা ওড়ে!’
এ মাসেই হতে যাওয়া এএফসি কাপের জন্য আবাহনী দুই ব্রাজিলিয়ানকে নিয়ে এসেছে। ব্রুনো মাতোস ও জোনাথন রেইস। ব্রুনোর চেয়ে কথাবার্তা একটু কম বলেন জোনাথন। ইংরেজিতে সমস্যা দুই ব্রাজিলিয়ানেরই। জোনাথনের ইংরেজি একটু বেশি দুর্বল। তা–ও ব্রুনোর পাশাপাশি তিনি জানালেন বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীদের ব্রাজিল–প্রেম তাঁকেও অবাক করেছে। তিনি এখন মুখিয়ে আছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের জার্সি গায়ে নিজেকে উজাড় করে দিতে।
এএফসি কাপে ১৬ আগস্ট মালদ্বীপের ক্লাব ইগলসের বিপক্ষে সিলেটে ম্যাচ আবাহনীর। প্রাথমিক রাউন্ডের সেই বাধা টপকাতে পারলে ২২ আগস্ট এএফসি কাপের প্লে–অফ। প্রতিপক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা ভারতের মোহনবাগান ক্লাবের। আবাহনীর কোচ মারিও লেমোসের লক্ষ্য গ্রুপ পর্যায়ে ওঠা। মৌসুম শেষে কদিন আগেই ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকার ফুটবলার দানিয়েল কলিনদ্রেস চলে গেছেন। আরেক ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল আগুস্তো চোটে ভুগছেন। বেশ বিপদে পড়ে গিয়েছিল আবাহনী। ডিফেন্ডার ইউসেফ ও ফরোয়ার্ড এমেকা ওগবাহ ছিলেন, তাঁদের পাশাপাশি শেখ জামাল থেকে ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট, মোহামেডান থেকে মিডফিল্ডার মুজাফফরভ ও ফর্টিস থেকে ডেনিলোকে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম আবাহনীতে খেলা দুজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ওজুকু ডেভিড ও মোস্তফাকে লোনে নেওয়া হয়েছে। ব্রুনো আর জোনাথনকে নিয়ে এ মুহূর্তে আবাহনীতে আছেন বেশ কয়েকজন বিদেশি ফুটবলার। লেমোস জানালেন, ‘সব বিদেশিকে দেখব আমরা। তাঁদের থেকে ছয়জনকে নেওয়া হবে। এএফসি কাপে যেহেতু ছয় বিদেশি খেলানো যাবে, তাই আমাদের হাতে যথেষ্ট বিকল্প আছে।’
ব্রুনো আর জোনাথনকে পছন্দ করে নিয়ে এসেছেন পর্তুগিজ কোচ লেমোসই। প্রথমজনের বয়স ৩৩, পরের জনের ৩৪। আজ ধানমন্ডিতে আবাহনী ক্লাবে বসে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে ‘ইংরেজি না জানা’ দুই ব্রাজিলিয়ানের কথপোকথনে ‘দোভাষী’ তিনিই। পর্তুগিজ থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে লেমোস বললেন, ‘থাইল্যান্ডে ওদের সঙ্গে পরিচয় আমার, দুজনই বেশ উঁচুমানের খেলোয়াড়। এএফসি কাপের জন্যই ওদের নিয়ে আসা হয়েছে। আশা করছি, ওদের কাছ থেকে ভালো কিছুই পাব।’
ব্রুনোর প্রোফাইল তুলনামূলক সমৃদ্ধ জোনাথনের চেয়ে। খেলেছেন সার্বিয়া, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের সর্বোচ্চ পর্যায়ের লিগে। খেলেছেন সৌদি আরবেও। তবে সেটি প্রো–লিগে নয়, দ্বিতীয় স্তরে। ইন্দোনেশিয়ার পারসিজা জাকার্তা, মালয়েশিয়ার সেলেঙ্গর, ভিয়েতনামের ভিয়েতেল এফসি, ইরানের সালত নাফত ও সার্বিয়ার এফসি নভিবাজরের হয়ে খেলে এশিয়ান ফুটবল নিয়ে ধারণাটা বেশ ভালোই তাঁর। এএফসি কাপের প্রাথমিক রাউন্ডে মালদ্বীপের ইগলসের বিপক্ষে তাই যথেষ্ট আশাবাদী ব্রুনো, ‘আবাহনী আমাদের ভরসা করে নিয়ে এসেছে। মালদ্বীপের দলটির বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দিতে চাই। আবাহনীকে পরের রাউন্ডে তুলতে চাই।’
জোনাথন খেলে এসেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান আইপার্কে। তবে থাইল্যান্ডে খেলেছেন বেশ কয়েকটি ক্লাবে—বিজি পাথুম ইউনাইটেড, মুয়াংকান ইউনাইটেড, সুপহানবুরি এফসি, নংবুয়া এফসি, ট্রাট এফসি—থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা তাঁর বেশ ভালো। সাইপ্রাসের এরমিস আরাদিপু নামের একটি ক্লাবেও এক মৌসুম খেলেছেন জোনাথন। বাংলাদেশের আবাহনীর হয়েও ভালো একটা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চান, ‘এখানকার আবহাওয়া থাইল্যান্ডের মতোই। এখন এএফসি কাপের ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে আছি। আমাদের প্রস্তুতি ভালোই হচ্ছে কোচ লেমোসের অধীনে। আবাহনী ক্লাবের পরিবেশ ও কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা যথেষ্ট ভালো। এখন ক্লাবকে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে তুলতে অবদান রাখতে চাই।’
আবাহনীর দুই ব্রাজিলিয়ানই ফুটবলার হিসেবে বেড়ে উঠেছেন দুই বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান ক্লাবে—ব্রুনো পালেমেইরাসে, জোনাথন করিন্থিয়ানসের একাডেমিতে। দুজনই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। রোনালদিনিও প্রিয়, তবে রোনালদোর মতো নয়। হালের নেইমার প্রিয় ব্রুনোর, জোনাথনের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর তুলনায় দুজনের কাছেই এগিয়ে মেসি। করিন্থিয়ানসের একাডেমিতে একবার রোনালদোর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন জোনাথন, কথা বলার সুযোগ হয়নি। অনেক দিন ধরে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ব্যর্থতা পোড়ায় দুজনকে। নিজেরাই বলেন, ‘সেই কবে বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। এরপর কতগুলো বিশ্বকাপ হয়ে গেল। একটা শিরোপা খুবই দরকার। আশা করি, সেটি ২০২৬ সালেই আসবে।’
এ মুহূর্তে তাঁদের বড় দায়িত্ব আবাহনীকে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে নেওয়া, যেটি বেশ কঠিন কাজ। | null |
4f0cca6a16 | অলিম্পিক দিবস উপলক্ষে এবার তিন দিনের কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। কাল শেষ দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে শোভাযাত্রা হয়েছে। ঢাকার শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার। ছিলেন বিওএর সভাপতি সেনাবাহিনী প্রধান মোহাম্মদ আব্দুল মুবীন, মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এবার রক্তদান, বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবাসহ আরও কিছু নতুন কর্মসূচি পালন করেছে বিওএ। | null |
ID_45925 | ক্যাম্প ডেভিড
ক্যাম্প ডেভিড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিদের বিশ্রাম স্থান হিসেবে পরিচিত। ১৯৫৩ সালের পূর্ব পর্যন্ত এটি শাংগ্রি-লা নামে পরিচিতি ছিল। ওয়াশিংটন ডিসি’র ৬২ মাইল (১০০ কিমি) উত্তর-উত্তর-পশ্চিমাংশের মেরিল্যান্ডের থারমন্টের কাছে ক্যাটোকটিন মাউন্টেইন পার্কে অবস্থিত। আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্থানটি নেভাল সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি থারমন্ট নামে পরিচিত। মূলতঃ এটি একটি সামরিক স্থাপনা যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করেন। পর্বতসঙ্কুল এলাকায় ২০০ একর (৮১ হেক্টর) এলাকা নিয়ে ক্যাম্প ডেভিড গড়ে উঠেছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বেস্টনি বিদ্যমান থাকায় সাধারণ জনগণের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ।
আরব-ইসরায়েলি সংঘাতের প্রেক্ষিতে ১৯৭৮ সালে মিশরের রাষ্ট্রপতি আনোয়ার আল সাদাত ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী মেনাখেম বেগিন এখানেই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন যা ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি নামে পরিচিতি পায়।
| null |
69ed346dc2 | টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার প্রতিবাদে গ্রামবাসী মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার কুড়ালিয়াপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে এই মিছিল ও সমাবেশ হয়।মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর কবীর জানান, সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এ সময় ওই ছাত্র ছাত্রীটির মুঠোফোনের নম্বর চায়। ছাত্রীটি তার নিজের নম্বর না দিয়ে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের নম্বর দেয়। পরে ওই নম্বরে ফোন করলে তা ওই শিক্ষকের স্ত্রী ধরেন। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায়ে ছাত্রটিকে শাস্তি দেওয়া হয় বলে তিনি জানতে পেরেছেন। এ কারণে এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, কয়েক দিন আগে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ওই ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। এ ঘটনায় কুড়ালিয়াপাড়া বাজারে ৯ অক্টোবর ওই ছাত্রের বাবা উপজেলার দেওড়া গ্রামের আবুল কালাম এলাকার ব্যবসায়ী মনির হোসেনের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিয়াকত হোসেনকে দায়ী করেন এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র সরকারকে গালাগাল করেন।এ ঘটনার প্রতিবাদে আবুল কালাম ও মনির হোসেনের বিরুদ্ধে গত রোববার স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা ক্লাস বন্ধ রেখে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন। এ ছাড়া গতকাল সোমবার মনির হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন শ্যামল চন্দ্র সরকার।এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক লিয়াকত হোসেন ও শ্যামল চন্দ্র সরকারের অপসারণ দাবি করে গতকাল সোমবার সকালে এলাকাবাসী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মিছিল ও সমাবেশ করেন। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক ছাত্র নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে জানান, বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। | null |
25ekvpnwrm | প্রথম রোল-প্লেয়িং ভিডিও গেম হিসেবে ফাইনাল ফ্যান্টাসির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
১৮ ডিসেম্বর ১৯৮৭ফাইনাল ফ্যান্টাসি গেমের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিতগেমার গেমের একটি চরিত্র হয়ে গেম খেলবেন। এই হচ্ছে রোল-প্লেয়িং গেম। প্রথম রোল-প্লেয়িং ভিডিও গেম হিসেবে ফাইনাল ফ্যান্টাসির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। হিরোনোবু সাকাগুচির তৈরি এই গেম প্রকাশ করে স্কয়ার এনিক্স (সাবেক স্কয়ার)। এখন পর্যন্ত মূল ১৬টি পর্ব প্রকাশিত হয়েছে ফাইনাল ফ্যান্টাসির। প্রতিটি পর্বই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সর্বশেষ গত ২২ জুন প্রকাশিত হয়েছে ফাইনাল ফ্যান্টাসি ১৬।
১৮ ডিসেম্বর ১৯৮৭পার্লের প্রথম সংস্করণ প্রকাশ করেন ল্যারি ওয়ালসব কাজের জন্য উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা পার্লের প্রথম সংস্করণ প্রকাশের ঘোষণা দেন ল্যারি ওয়াল। পার্লের আনুষ্ঠানিক কোনো পূর্ণরূপ নেই। অনেক পূর্ণরূপের একটা হলো ‘প্র্যাকটিক্যাল এক্সট্র্যাকশন অ্যান্ড রিপোর্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ১’। ওয়াল নিজেও একটি পূর্ণরূপ দিয়েছিলেন যেটি পার্লের ম্যানুয়ালে লেখা আছে। সেটি হলো প্যাথলজিক্যালি একলেকটিক রাবিশ লিসটার। শুরুতে ইংরেজিতে Pearl বানান থাকলেও পরে a বাদ দেওয়া হয়। এখন পার্লের ইংরেজি বানান perl.
সাধারণ কাজের ইউনিক্স স্ক্রিপ্টিং ভাষা হিসেবে ল্যারি ওয়াল পার্ল তৈরি করেন ১৯৮৭ সালে। এর পর থেকে এতে অনেক পরিবর্তন, পরিমার্জন হয়েছে। ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পার্লের ষষ্ঠ সংস্করণ চালু ছিল। এরপর এর নাম বদলে রাখা হয় রাকু। তবে পার্ল ও রাকু দুটি ভাষারই আলাদা আলাদা উন্নয়ন চলছে। উটের ছবিকে পার্লের লোগো হিসেবে ব্যবহার করে ও’রেইলি মিডিয়া। আর রসুনকে পার্লের লোগো হিসেবে ব্যবহার করে দ্য পার্ল ফাউন্ডেশন।
১৮ ডিসেম্বর ১৯৯১আইবিএম ও সিমেন্স এজি ৬৪ মেগাবাইট ডির্যামের নমুনা দেখায়ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন ও সিমেন্স এজি ৬৪ মেগাবাইটের ডির্যাম (ডাইনামিক র্যানডম অ্যাকসেস মেমোরি) তৈরির ঘোষণা দেয়। এই ডির্যাম তৈরি হয়েছে মুরের সূত্র ধরে। মুরের সূত্রে বলা হয়েছে, প্রতি ১৮ মাস অন্তর একটি সিলিকনে দ্বিগুণসংখ্যক ট্রানজিস্টর ধারণ করানো যাবে। | null |
21598f153a | গুলশান এক্সচেঞ্জের আওতাধীন প্রায় এক হাজার ৪০০ টেলিফোন নম্বর ৯৮২ গ্রুপের নম্বর দিয়ে পরিবর্তন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে গ্রাহককে তাঁদের নতুন নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে।গতকাল সোমবার বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে (বিটিসিএল) এ পরিবর্তনের কথা জানানো হয়েছে।বিটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, এ কাজ আগামী ২২ আগস্ট থেকে শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে এ কাজ শেষ করা হলে গ্রাহকের টেলিকম সার্ভিস উন্নততর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।এ ছাড়া গ্রাহকের আবেদনসাপেক্ষে তাঁর টেলিফোনে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও দেওয়া হবে।বনানী সুপার মার্কেটের চালু সকল টেলিফোন, কামাল আতার্তুক এভিনিউয়ের বিল্ডিং ৮ থেকে ৪২, সড়ক নং ১৭-এর বাড়ি নং ৫ থেকে ৩৫ এবং বা/এ-এর টেলিফোনগুলো, ব্লক সি-এর আংশিক, মহাখালী দক্ষিণ পাড়া ও আইসিডিডিআরবি এলাকার টেলিফোন সংযোগগুলোর নম্বর পরিবর্তনের আওতায় আনা হয়েছে।যেকোনো তথ্যের জন্য মহাখালী ও আইসিডিডিআরবির জন্য ৯৮৮০০৫৩, ৮৮৯১৩০০ এবং অন্য এলাকার জন্য ৯৮৪১৯৭৭, ৯৮৬১২৯৯, ৯৮২০০০০ ও ০১৫৫২৩১০৭৬৬ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। | null |
13a965fdc6 | ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় গতকাল সকালে এমএলএম কোম্পানি ইউনিপে টু ইউর দুই কর্মকর্তাকে মারধর করেছেন গ্রাহকেরা। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় সালিস বৈঠকে তাঁদের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে লিখিত স্বীকারোক্তি নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। মো. মিজানুর রহমান ও ইকবাল হোসেন নামের ওই দুই কর্মকর্তা পরশুরাম এলাকায় ৮৪ নম্বর এজেন্টের প্রধান বলে জানা গেছে। গ্রাহকেরা জানান, মিজান ও ইকবাল লোভনীয় ফাঁদ পেতে উপজেলার প্রায় এক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু ১০ জানুয়ারির পর ইউনিপে টু ইউর সব ধরনের লেনদেন বন্ধ হয়ে গেলে এ দুজন আত্মগোপন করেন। গত শুক্রবার উপজেলার প্রায় ৩০০ গ্রাহক মিলে একটি সভা করে অর্থ আদায়ের জন্য আক্কাস মিয়াকে আহ্বায়ক করে ৬১ সদস্যের কমিটি করে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শতাধিক গ্রাহক গতকাল সকালে মোটরসাইকেলে করে মিজানের মির্জানগর ইউনিয়নের উত্তর কাউতলী গ্রামের বাড়ি ঘেরাও করে তাঁকে ধরে মারধর করেন।খবর পেয়ে পরশুরাম থানা পুলিশের একটি টহল দল মিজানের বাড়িতে যায়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা সদরে নিয়ে আসে। ইতিমধ্যে তাঁকে আটকের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁকে থানায় উপজেলা সদরে নেওয়ার পথে সড়কে প্রায় ৩০০-৪০০ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক মারধরের চেষ্টা করেন। এর মধ্যে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা কোলাপাড়া গ্রাম থেকে ইকবালকে ধরে আনেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার ও কয়েকজন কাউন্সিলরের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ সড়কে ইসলামি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে এক সালিস বৈঠক হয়। এতে কোম্পানি টাকা না দিলেও তাঁরা এক মাসের মধ্যে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করবেন বলে ছয়টি স্ট্যাম্পে সই দেন। মিজান জানান, ফেনীতে ইউনিপে টু ইউর হয়ে তিনিসহ মোট আটজন প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। ইকবালসহ তিনি পরশুরাম থেকে গত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় চার কোটি টাকা আদায় করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন জানান, মিজান ও ইকবাল লিখিত দিয়েছেন, কোম্পানি টাকা না দিলেও গ্রাহকের টাকা তাঁরা পরিশোধ করবেন। | null |
w1op7ayywu | ব্যবহারকারীরা বিষয় উল্লেখ করলেই সে বিষয়ে পুরো ই-মেইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিখে দেবে আউটলুক। এ জন্য শিগগিরই নিজেদের ই-মেইল অ্যাপটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সুবিধার নতুন টুল যুক্ত করতে যাচ্ছে মাইক্রোসফট। টুলটি চালু হলে ব্যবহারকারীদের লেখা ই-মেইলের বানান বা ভাষাগত কোনো ভুল থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক করে দেবে আউটলুক। এর ফলে দ্রুত নির্ভুলভাবে ই-মেইল পাঠানোর সুযোগ পাওয়া যাবে।
মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুলটি ই-মেইল লিখে দেওয়া ছাড়াও অন্যদের পাঠানো ই-মেইলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংক্ষেপে জানাতে পারে। ফলে অন্যদের পাঠানো আকারে বড় ই-মেইল না খুলেই সেখানে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। টুলটি ব্যবহার করে চাইলে অন্যদের পাঠানো ই-মেইলের ফিরতি বার্তাও পাঠানো যাবে। আগামী নভেম্বর থেকে মাইক্রোসফট ৩৬৫ ব্যবহারকারীদের জন্য টুলটি উন্মুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে সব ব্যবহারকারী এ সুবিধা পাবেন।
আউটলুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সুবিধার টুলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-মেইল লিখে দিলেও সেগুলো সম্পাদনা করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। অর্থাৎ খসড়া ই-মেইলে থাকা শব্দ বাদ দেওয়ার পাশাপাশি চাইলে নতুন তথ্যও যুক্ত করা যাবে। ফলে ই-মেইলে তথ্য ভুল বা বাদ পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, গত মার্চ থেকেই আউটলুকসহ নিজেদের বিভিন্ন প্রযুক্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল চালুর জন্য কাজ করছে মাইক্রোসফট। এরই ধারাবাহিকতায় মাসখানেক ধরে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আউটলুক ব্যবহারকারীদের ওপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সুবিধার টুলটির কার্যকারিতা পরখ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র:সিএনএন | 3,874 |
End of preview. Expand
in Data Studio
README.md exists but content is empty.
- Downloads last month
- 39